‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এখন ছোট্ট গ্রামেও, যাদের রয়েছে নিজের ওয়েবসাইট, জমিয়ে অর্ডার

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এখন ছোট্ট গ্রামেও, যাদের রয়েছে নিজের ওয়েবসাইট, জমিয়ে অর্ডার

চুরু:  এই যুগ প্রযুক্তির যুগ৷ চারদিকে যেখানে তাকান, যে কোনও কাজ করুন সবকিছুতেই বুঝে বা না বুঝে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েই থাকে৷ বর্তমানে প্রচুর মানুষ অনলাইনেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন৷ এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তে থাকা মানুষও এখন অনলাইন শপিংয়ের বিষয়ে জেনে গেছেন৷

জেলার সদর শহর তহসিলের গ্রাম উড়সর ডিজিটাল ক্রান্তি এক দারুণ জায়গায় পৌঁছে গেছে৷ দেশের প্রযুক্তির উড়ান যে বিশাল হয়েছে তা এই উদাহরণ থেকে একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে৷  পঞ্চায়েত উড়সরে এন নিজস্ব অনলাইন ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে৷ সেখানে জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছে৷ তার থেকে গ্রামীণ মানুষেরা রোজগার পাচ্ছেন৷ গ্রামের মানুষ এখন এটাকে ভিত্তি করে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে৷ এই ওয়েবসাইট থেকে ছোট গ্রামটির ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষ রোজগার করছে৷ যাতে মহিলারাও রয়েছেন৷

এই ওয়েবসাইটে আপনি খাটিয়া থেকে সবজি আনাতে পারেন

বহু বছরে এই গ্রামের পরম্পরা রয়েছে  পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কারিগরি হারিয়ে যেতে চলেছে৷ সেই সব ফের একবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে৷ যেমন চারপেয়ে খাটিয়া, পিঁড়ে বানানো, মহিলাদের তৈরি করা ঘর সাজানোর জিনিসও রয়েছে৷

পাশাপাশি রাজস্থানের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বানানোর পরম্পরাও রয়েছে৷ তার মধ্যে শুকনো শস্যও খুবই পপুলার৷ যার মধ্যে সাংরি, কের, বড়ি, পাপড়, ফফলিয়া, কাচরি রয়েছে৷ এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েত উড়সড় থেকে দেশি ঘি তৈরি হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে গ্রামের মানুষ প্রচুর রোজগার করতে পারছে৷ একে ধরে নিয়ে লুপ্ত হতে চলা পরম্পরা ফের একবার বেঁচে উঠেছে৷

অনলাইন ডিমান্ড পুরো হচ্ছে

ওয়েবসাইট চালাচ্ছেন রাকেশ পান্ডিয়া জানিয়েছেন গ্রামে আমরা গ্রামের একটি ওয়েবসাইট বানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত উড়সর যা সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে৷ যে যা জিনিস চাইছে সেখানেই আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠিয়ে দিচ্ছি৷

(Feed Source: news18.com)