মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! বিমানের ককপিটের ভিতরেই দেখা মিলল কোবরার… তারপর

মাঝ আকাশে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! বিমানের ককপিটের ভিতরেই দেখা মিলল কোবরার… তারপর

জোহানেসবার্গ: নাম রুডল্ফ ইরাসমাস৷ গত ৫ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছেন তিনি৷ বিমান চালাতে চালাতে কখনও খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ কখনও আবার বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই মাথা ঠান্ডা করে কাজ করেছেন ইরাসমাস৷ কিন্তু, তাঁর মনোবল যে কতটা প্রশংসনীয় তা প্রমাণিত হল আরও একটি ঘটনায়৷

সোমবার সকালে ইরাসমাস ছোট একটি বিমানে চারজন যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ওরশেস্টার থেকে নেলসপ্রুটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, মাঝ আকাশেই ঘটল বিপত্তি৷ ইরাসমাস দেখলেন, তাঁর সিটের পিছন দিয়ে তাঁরই সিটের তলায় আস্তে আস্তে চলে গেল বিষাক্ত কেপ কোবরা সাপ৷

নিজের আসনের নীচে বিষধর সাপটাকে যেতে দেখেও কিন্তু ঘাবড়ে যাননি ইরাসমাস৷ বরং, সেই সময় মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিক করে নিয়েছিলেন, এরপর তিনি ঠিক কী কী করবেন৷ সাপের কথা অবশ্যই তিনি যাত্রীদের জানানি৷ সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে৷ জানান সমস্যার কথা৷

ঘটনার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ইরাসমাস বলেন, “আমি সবসময় আর সিটের ঠিক পাশে জলের বোতল রাখি৷ হাতের কাছ ঠান্ডা অনুভূতি হওয়ায় মুহূর্তের জন্য তাকিয়ে দেখি৷ দেখেই হাড়হিম হয়ে যায়৷ কেপ কোবরা তখন আসতে আসতে আমার সিটের পিছন থেকে আমার সিটের নীচের দিকে এগোচ্ছে৷” এরপরেই তিনি বিমানের জরুরি অবতরণের জন্য বার্তা পাঠান সংশ্লিষ্ট কন্ট্রোল রুমে৷

বিমানটি সেই সময় ওয়েলকম বিমানবন্দরের কাছে ছিল৷ সেখানেই বিমানটির জরুরি অবকরণ করা হয়৷ জানা গিয়েছে, বিমানটি ছাড়ার আগেই বিমানবন্দরের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, বিমানের ডানার নীচে চাঁরা একটি বিষধর সাপ দেখেছেন৷ কিন্তু, হাজার খুঁজেও সেই সাপ তখন দেখতে পাওয়া যায়নি৷ ফলে বিমানকর্মীরা ভেবেছিলেন, সাপটি বোধহয় বিমান থেকে নেমে গেছে৷ কিন্তু, তেমনটা যে হয়নি, তাতে মাঝ আকাশে উঠেই বোঝা গেল৷

বিমানের সব যাত্রীরাই ঘটনার পরে সুস্থ-স্বাভাবিক ছিলেন৷ বিমানচালকের প্রত্যৎপন্নমতিত্বের জন্যই যে তাঁদের বিমান বড় ধরেনর দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছে, তা তাঁরা একবাক্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন৷

(Feed Source: news18.com)