রিকশচালক থেকে স্টার্ট আপ মালিক, আইআইটি এবং আইআইএম উত্তীর্ণদের চাকরি দেন কোটিপতি

রিকশচালক থেকে স্টার্ট আপ মালিক, আইআইটি এবং আইআইএম উত্তীর্ণদের চাকরি দেন কোটিপতি

পটনা : জীবনে বাধা বিঘ্ন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, হতাশা যথেষ্ট। বন্ধুরতার এই তিক্ততা এবং খারাপ সময়ের অভিজ্ঞতা থেকেই মানুষের জীবনে শিক্ষণীয় কিছু আসে। ভুল থেকে শিখতে পারে। তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ দিলখুশ কুমার। তিনি ছিলেন বিহারের এক রিকশাচালক। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি এখন স্টার্ট আপের মালিক। তাঁর স্টার্ট আপের উদ্যোগে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে ট্যাক্সিচালকদের যোগাযোগ করিয়ে দেন। ৫০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষেত্রে এই স্টার্ট আপ কাজ করে।

এই স্টার্ট আপ-এর লক্ষ্য বিহারের প্রত্যেক গ্রামকে ট্যাক্সির পরিষেবার আওতায় আনা। যাতে শহরকে সহজেই ট্যাক্সির মাধ্যমে গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। স্টার্ট আপের তরফে প্রতি মাসে চালকদের ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। খেয়াল রাখা হয় যাতে তাঁরা জীবনধারণে সচ্ছ্বলতা আনতে পারেন।

রিকশাচালকের পাশাপাশি দিলখুশ কুমার সব্জি বিক্রেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ট্যাক্সিচালকদের কাজের সংস্থান করেন। এখানেই শেষ নয়। আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো সম্মাননীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা উত্তীর্ণ তাঁদেরকেও তিনি চাকরির সুযোগ করে দেন। তিনি নিজে শিক্ষার প্রতিবন্ধকতার মাশুল দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বহু বার৷ তাই তিনি চান নতুন প্রজন্মের কাছে সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে৷

চাকরি না পেয়েও হাল ছাড়েননি দিলখুশ৷ তাঁর বাবা ছিলেন বাসচালক৷ বাবার কাছে ড্রাইভারি শেখেন তিনি৷ সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি দিয়েই তিনি স্টার্ট আপ শুরু করেছিলেন৷ শুরু করার ৬-৭ মাসের মধ্যে তার কোষাগার পৌঁছে গিয়েছে ৪ কোটিতে৷ আজকের দিনে সকলে যেখানে সরকারি চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে যায়, সেখানে দিলখুশ কুমার উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম৷ তিনি অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস৷

(Feed Source: news18.com)