১১৩ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিল আয়কর দফতর! মাথায় হাত মধ্যপ্রদেশের যুবকের

১১৩ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিল আয়কর দফতর! মাথায় হাত মধ্যপ্রদেশের যুবকের

ভোপাল: আয়কর দফতরের কোপে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের এক যুবক। তাঁর উপর চেপেছে প্রায় ১১৩ কোটি টাকার বোঝা। আর এসব দেখে রীতিমতো মাথায় হাত ওই যুবকের।

মধ্য প্রদেশের ভিন্ডের যুবক রবি গুপ্তার মাসিক বেতন ৫৮০০০ টাকা। তাঁর কাছে ১১৩ কোটি টাকা কর পরিশোধ করার নির্দেশ এসেছে। এই মর্মে আয়কর দফতরের তরফে তাঁকে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এই করের বোঝা? অভিযোগ উঠছে যে, রবির অ্যাকাউন্টে ২০১১-১২ সালে ১৩২ কোটির লেনদেন হয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর  থেকে একটি তদন্ত করা হয়েছিল। আর ওই যুবকের দুর্দশার প্রথম রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালে। রবিও ইডি এবং সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ইডি কিংবা সিবিআই এই বিষয়ে তেমন পাত্তা দেয়নি। এমনকী, এই ধরনের কেস বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না।

বিগত ২০১৯ সালে বছর তিরিশের ওই যুবক আয়কর বিভাগ থেকে প্রথম নোটিস পান। আর তা দেখে তিনি তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন। ওই নোটিসে তাঁকে ২০১১-১২ অর্থবর্ষের জন্য শাস্তিস্বরূপ ৩.৪৯ কোটি টাকা মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রবির দাবি, তিনি সেই সময় ইন্দোরের একটি বিপিও-তে কাজ করতেন। আর মাত্র ৭০০০ টাকা মাসিক বেতন পেতেন।

২০২০ সালে তদন্তের প্রথম রিপোর্ট আসার পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই বিষয়টি অর্থ মন্ত্রকের কাছে রেফার করে। এর পর বিষয়টি যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে। রিপোর্ট দেখে ওই যুবককে নিষ্কৃতি দেয় ব্যাঙ্ক। কিন্তু এর কয়েক দিন পরে নতুন নোটিশ আসে। যা দেখে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েন রবি।

গত ৫ বছর ধরে অক্লান্ত ভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির দরজায় ঘুরছেন, যাতে এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফেডারেল সংস্থাগুলি কেন আমার অভিযোগের তদন্ত করছে না! এটা তো একটা বড়সড় আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা। আর এই বিজ্ঞপ্তিগুলির কারণে আমায় হয়রান হতে হচ্ছে। আর আমার মতো বহু মানুষই এই সমস্যার মুখোমুখি হয়। আমি জানি না এটা কবে আর কোথায় গিয়ে শেষ হবে।’’

শুধু রবিই নন, তাঁর দুই বিপিও-সহকর্মী কপিল শুক্লা ও প্রবীণ রাঠোরও এই একই আয়কর নোটিস পেয়েছিলেন ওই সময়ে। অভিযোগ, রাঠোরের নাম, প্যান কার্ড ব্যবহার করে তৈরি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ২৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আবার একটি হিরের সংস্থা রবির অ্যাকাউন্টে ৯৫ কোটি, ৪৭ কোটি এবং ২৫ লক্ষের তিনটি লেনদেন করেছিল। তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৫৬৪ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে কর অনুসন্ধান করা হয়। তদন্তের আওতায় থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল মুম্বইয়ের একই ব্যাঙ্কের শাখায়।

(Feed Source: news18.com)