জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী বলা হয়েছে, সমস্ত বোর্ডকে কমাতে হবে পাঠ্যক্রমের বোঝা, সেই জায়গায় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার বিকাশে জোর দিতে হবে, বলে জানানো হয়েছে। সেই নীতি মেনে, সিবিএসই তার ওয়েবসাইটে নতুন পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য পেশ করেছে। সেই পাঠ্যক্রমে কোন কোন বিষয় সামনে এসেছে দেখা যাক।
দেশের জাতীয় শিক্ষানীতিকে কার্যকরি রূপ দিতে একঝাঁক পদক্ষেপ করেছে সিবিএসই। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে ২০২০ সালে সূচনা হয় জাতীয় শিক্ষানীতির। সেই নীতি অনুযায়ী বলা হয়েছে, সমস্ত বোর্ডকে কমাতে হবে পাঠ্যক্রমের বোঝা, সেই জায়গায় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার বিকাশে জোর দিতে হবে, বলে জানানো হয়েছে। সেই নীতি মেনে, সিবিএসই তার ওয়েবসাইটে নতুন পাঠ্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য পেশ করেছে। সেই পাঠ্যক্রমে কোন কোন বিষয় সামনে এসেছে দেখা যাক।সিলেবাসে হ্রাস- সিলেবাস ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে। কিছু অধ্যায় সম্পূর্ণ বাদ না দিয়ে কিছু অংশ বাদ গিয়েছে। নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমের কাঠামো বদল হয়নি। ইউনিট ভিত্তিক নম্বর, প্রশ্নের ধরণও একই রয়েছে। দক্ষতাভিত্তিক প্রশ্নে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্লায়েড মেছামেটিক্স বিষয়টি গ্রুপ এ তে ইলেকটিভ হিসাবে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার ধরণ- দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বছরের শেষে একটি পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। রসায়নের ক্ষএত্রে সলিড টেস্ট ইউনিট ওয়ান সংযুক্ত হয়েছে। ‘সায়ানাইডস এবং আইসোসায়ানাইডস বাদ দেওয়া হয়েছে। ‘পলিমার এবং পলিমারাইজেশন’ অধ্যায়টি ১৫ ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। রসায়নের প্র্যাক্টিকালের ক্ষেত্রে কিছু অংশ বাদ গিয়েছে, মোট প্র্যাক্টিক্যালের সংখ্যাও পরিবর্তন হয়েছে। পদার্থবিদ্যায় কিছু প্র্যাক্টিক্যাল বাদ দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়ে সব মিলিয়ে প্র্যাক্টিক্যালের সংখ্যা বেড়েওছে। সংখ্যা হয়েছে ৬।
কয়েকটি পরিবর্তন- রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বেশ কিছু অধ্যায় বাদ গিয়েছে। একাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে থিওরির অংশ একই রেখে প্র্যাক্টিক্যালের সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ টি করা হয়েছে। দশমে ইংরেজি, সোশ্যাল স্টাডিজ, বিজ্ঞান, এই তিনটি বিষয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘ওয়ার্ডস অ্যান্ড এক্সপ্রেশন’ নামে নতুন বই সংযুক্ত হয়েছে ইংরেজিতে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, ‘ব্যবহারিক দক্ষতার মূল্যায়ন’ শীর্ষক নতুন বই সংযুক্ত হয়েছে।
