স্বামীর চায়ের দোকানে বিক্রি কম, ইউটিউব দেখে স্ত্রীর উপার্জন আকাশছোঁয়া

স্বামীর চায়ের দোকানে বিক্রি কম, ইউটিউব দেখে স্ত্রীর উপার্জন আকাশছোঁয়া

মাইসুরু: একথা সত্যি যে, ইউটিউব বহু মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। আজ এই ইউটিউবকে অবলম্বন করেই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। প্রচুর উপার্জন করছেন তাঁরা। আবার ইউটিউব থেকে রান্নাবান্না কিংবা হাতের কাজ শিখেও অনেকেই ব্যবসা করছেন। আর তাতে মুনাফাও আসছে দুর্দান্ত। এই ভাবেই ইউটিউবকে কাজে লাগাচ্ছেন বহু মানুষই। এর ব্যতিক্রম নন মাইসুরুর বাসিন্দা দুই শিশু সন্তানের জননী শ্বেতা তিলক কুমার। আজ তাঁর সাফল্যের গল্পই শুনে নেওয়া যাক।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ছোট ছেলেমেয়ে আর সংসার সামলাতে গিয়ে বাইরের বেরিয়ে কাজ করতে প্রায় অপারগ হয়ে পড়েছিলেন শ্বেতা। এদিকে শ্বেতার স্বামী তিলক কুমারের আবার চা-কফির দোকান। কিন্তু মুশকিল হল, গ্রীষ্মের মরশুমে চা-কফির চাহিদা কমে যায়। ফলে দোকান থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগে ছিলেন ওই দম্পতি। ফলে আয় বাড়ানোর উপায়ের সন্ধান শুরু করেন শ্বেতা। সেখান থেকেই তিনি এক দিন ইউটিউব দেখতে গিয়ে রাগি আমবালি ও বাটারমিল্ক বানানোর আইডিয়া পান।

আসলে ইউটিউবের একটি ভিডিওতে মিনারেল ওয়াটার ব্যবহার করে  রাগি আমবালি ও বাটারমিল্ক তৈরি করার পদ্ধতি দেখেন । আর এটা দেখামাত্রই মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়। রাগি আমবালি ও বাটারমিল্ক বানিয়ে দোকানে বিক্রির কথা মাথায় আসে শ্বেতার। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি শ্বেতা ও তিলকের। আমবালি আর বাটারমিল্ক বিক্রি করে প্রচুর উপার্জন করছেন তাঁরা।

মুনাফা প্রসঙ্গে শ্বেতা জানান, “রাগি-বাজরার আমবালি ও বাটার মিল্ক বিক্রি করে ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে। এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার মতো পানীয় তৈরির খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয় প্রায় ৫০০ টাকা। শুধু তা-ই নয়, যে কোনও চাকরিতে যোগ দিলে ৮-১০ ঘণ্টা অফিস করতে হয়। এক্ষেত্রে আমি আমার নিজের সময় মতো কাজ করতে পারি। অর্থাৎ এই কাজে আমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।” আর এভাবেই ইউটিউবের সাহায্যে নিজেদের ভাগ্য ফেরাচ্ছেন শ্বেতারা!

(Feed Source: news18.com)