গরমে শুধুই ‘ছুটি ছুটি’ নয়! বিদেশি ধাঁচে থেকে এ রাজ্যেও এবার ‘সামার ক্যাম্প’

গরমে শুধুই ‘ছুটি ছুটি’ নয়! বিদেশি ধাঁচে থেকে এ রাজ্যেও এবার ‘সামার ক্যাম্প’

কলকাতা: প্রচণ্ড দাবদাহের পূর্বাভাস। গরমের জন্য তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এগিয়ে আনা হয়েছে স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি। আগামী ২ মে থেকে ছুটি পড়ে যাবে যাবতীয় সরকারি স্কুলে। তবে পড়ুয়াদের ‘গরমের ছুটি’কে শুধুই ‘ছুটি’ হিসাবে রাখতে চাইছে না শিক্ষা দফতর। বিদেশের আদলেই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে চালু হতে চলেছে ‘সামার ক্যাম্প’। যা পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস, ব্যক্তিত্ব, কর্মদক্ষতা ও জ্ঞান চর্চার সহায়ক হবে বলে মনে করছে তারা।

বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর গোটা প্রক্রিয়াটি নজরদারির জন্য ব্লক স্তর থেকে জেলা স্তরে নজরদারি কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় বিডিও-র নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে স্কুল ইনস্পেক্টর ছাড়াও স্থানীয় থানার ওসি, আইসি-রা থাকবেন। শহরের স্কুলের জন্য মহকুমাশাসকের নেতৃ্ত্বে কমিটিতে এসডিপও,জেলা সহকারী স্কুল ইনস্পেক্টররা থাকবেন। জেলাস্তরের কমিটিতে অতিরিক্তি জেলাশাসক(শিক্ষা), পুলিশ সুপারের প্রচতিনিধি, জেলা স্কুল ইনস্পেক্টর থাকবেন।

শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পাঁচ থেকে সাত দিনের এই শিবির হবে। প্রত্যেক পড়ুয়াকে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। পিকক মডেলে সেই রিপোর্টগুলি অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। এর ফলে গরমের ছুটির সময় যে সব পড়ুয়ারা বাবা মায়ের সঙ্গে কর্মস্থলে চলে যায়, সবসময় তাঁরা নিয়ম মতো ফিরে আসে না। সেগুলি আটকানো সম্ভব হবে।

শিক্ষকরা এই শিবিরেরে জন্য পড়ুয়াদের ওরিয়েন্টেশন করবেন। বিষয়ের রূপরেখা বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর ক্লাস ভিত্তিক করে দিয়েছে। শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করবে।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পারিপার্শ্বিক বা প্রাকৃতিক পরিবেশের উপরে এই শিবিরে প্রজেক্ট তৈরি করবে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির জন্য বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট,বিজ্ঞান কেন্দ্র বা স্কিল ডেভালপমেন্ট কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের স্থানীয় গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,গবেষণা কেন্দ্র, শিল্প সংস্থায় নিয়ে গিয়ে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সাইবার সেন্টার, আদালত, পুলিশ প্রশাসন, বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, এনজিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

(Feed Source: news18.com)