মানুষ যেন আমায় ভুল না বোঝেন! মমতার গলায় আচমকাই অন্য সুর

মানুষ যেন আমায় ভুল না বোঝেন! মমতার গলায় আচমকাই অন্য সুর

আমার সব ভাবনাচিন্তা মানুষের থেকে পাওয়া। আমার নিজের ইচ্ছা একটাই। মানুষ যেন কোনও দিন আমাকে ভুল না বোঝেন। হয়তো কখনও কখনও ভালো কাজ করার মতো টাকা থাকবে না। হয়তো অন্য বাধা থাকবে। তবে টাকা না থাকলে, আঁচল পেতে টাকা ভিক্ষা করব। কিন্তু দিল্লির কাছে টাকা চাইব না। বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে কি এবার মমতা বুঝতে পারছেন তাঁর ইমেজেও দাগ পড়ছে? কিন্তু সম্প্রতি রিপোর্ট সামনে এসেছে তিনি অন্যতম গরিব মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও কেন তাঁর এই অভিমান? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একের পর এক দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে দলের অনেকেই। দলের প্রাক্তন মহাসচিবও বর্তমানে জেলের অন্দরে। একাধিক প্রকল্প নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। মিড ডে মিল থেকে আবাস যোজনা সর্বত্রই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মহল থেকে বার বার বলা হচ্ছে দলের শীর্ষ স্তরে গিয়েছিল চুরির টাকা। সেই পরিস্থিতিতে তবে কি ব্যক্তি মমতাকে যাতে কেউ ভুল না বোঝেন তা নিয়েই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?

মমতার এই বক্তব্যের পরে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে এদিন ধনধান্য উদ্বোধনের পরে উচ্ছসিত মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেন তিনি। ধন্যধান্য় নিয়ে টুইটও করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, একটা গর্বের মুহূর্ত। ধন্য়ধান্যের উদ্বোধন হয়েছে এদিন। ৪৪০ কোটি টাকায় ইন্ডোর ফেসিলিটি। পূর্ত দফতরকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই স্বপ্নের প্রকল্পের জন্য। এই আধুনিক স্থাপত্যটি আমাদের রাজ্যের উন্নতি ও প্রগতির প্রতীক হয়ে থাকবে।

একেবারে শঙ্খের আকৃতির অডিটোরিয়াম। সেটার উদ্বোধন করেন তিনি। বাংলার উন্নতি সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেন তিনি। তার মধ্য়ে তিনি টেনে আনেন বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা। তিনি জানিয়েছেন, অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা ভাঙব না। মমতা বলেন, না দিক। দরকার হলে শাড়ির আঁচল ধরে মায়েদের কাছে ভিক্ষা চাইব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। যেমন করে হোক চালিয়ে নেব।

(Feed Source: hindustantimes.com)