মহান কবি মির্জা গালিবের কবিতা ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ

মহান কবি মির্জা গালিবের কবিতা ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ

মির্জা গালিব হলেন উর্দু ভাষার একজন মহান কবি, যার নাম সবাই নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন এবং তাঁর কবিতা জীবনের কোনো না কোনো সময়ে জ্ঞাতসারে বা অজান্তে ব্যবহার করেছেন। উর্দু ভাষার মহান কবি মির্জা গালিব ১৭৯৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মির্জা গালিবের আসল নাম ছিল মির্জা আসাদ-উল্লাহ বেগ খান। মহান কবি মির্জা গালিব এমন এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন মুঘল শক্তি দুর্বল হচ্ছিল এবং মির্জা গালিবের জীবন অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে কেটেছিল। কিন্তু মির্জা গালিব এমন কবিতা লিখেছেন যা জীবনের মর্ম বর্ণনা করে।

মির্জা গালিব বলিউড ও টেলিভিশনে তাকে নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। সোহরাব মোদির ছবি ‘মির্জা গালিব (1954)’ বলিউডে স্মরণীয় ছিল। গুলজারের টিভি সিরিয়াল ‘মির্জা গালিব (1988)’ও টেলিভিশনে একটি মাইলফলক। ছবিটিতে ভারত ভূষণ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করলেও নাসিরুদ্দিন শাহ মির্জা গালিবকে টিভিতে ছোট পর্দায় জীবন্ত করে আনেন। আসুন আমরা এমন কিছু শের পড়ি যা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি কিন্তু জানি না যে এগুলো মির্জা গালিবের।

মহান উর্দু কবি মির্জা গালিবের 10 শের:

ঘৃণার কারণে পান করতেন কিন্তু ভাবতেন হ্যাঁ
একদিন আমাদের আনন্দ রঙ আনবে

পৃথিবীতে আরও অনেক ভালো সুখ আছে
বলা হয়ে থাকে যে ‘গালিবের’ বর্ণনাশৈলী আছে এবং

তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকো
প্রতি বছর পঞ্চাশ হাজার দিন

আদমের খুলদ থেকে বের হওয়ার কথা শুনছি কিন্তু
আমরা খুব নির্লজ্জভাবে আপনার পথ থেকে বেরিয়ে এসেছি

হাজারো ইচ্ছা এমন যে প্রতিটি ইচ্ছা দমবন্ধ হয়ে যায়
অনেক আকাঙ্ক্ষা বেরিয়েছে কিন্তু এখনও কিছু বেরিয়ে এসেছে

ইশরাত-ই-কাতারা নদীতে বিলীন হবে
যন্ত্রণার সীমা অতিক্রম করতে হয় ওষুধ

ভালোবাসায় বেঁচে থাকা আর মরার কোনো পার্থক্য নেই
যার উপর কাফের মরে তাকে দেখে বাঁচো

যাদের চোখে মুখে উজ্জ্বলতা আসে
তারা বুঝতে পারে যে অসুস্থরা ভালো আছে

কিছু না থাকলে ভগবান ছিল, কিছু না থাকলে ভগবান থাকত
আমি ডুবে না গেলে কি হতো

আহ, প্রভাব ফেলতে একটু সময় লাগে
কে তোমার মাথায় চুল না হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকে

(Feed Source: ndtv.com)