বিস্ফোরক ব্রাত্য বসু! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর

বিস্ফোরক ব্রাত্য বসু! রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ফোন করলেও তিনি কথা বলতে চাননি বলেও এদিন অভিযোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী বলেন “আমি রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি কথা বলতে চাননি।”

প্রসঙ্গত উচ্চশিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট বা আর্থিক অনুদান দিচ্ছেন তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর রাজ্যপালকে চিঠিও দিয়েছে বলে এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান। তিনি বলেন “দফতরের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে। গতকালই একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেটা উনি করছেন সেই সম্পর্কে শিক্ষা দফতর অবহিত নয়। চিঠিতে বলা হয়েছে উনি শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে যান।”

শুক্রবার আধঘণ্টা ধরে রাজ্যপাল তথা আচার্য নিয়ে কড়া ভাষায় সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্যদেরও এবার সতর্ক করেন শিক্ষামন্ত্রী। মূলত আচার্য তথা রাজ্যপালের সারপ্রাইজ ভিজিট নিয়েই উপাচার্যদের সতর্ক করে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন “আমি রাজ্যের উপাচার্যদের বলব আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনাদের সবার উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি ছাড়া কোন একাদেশিতা দেখাবেন না। কোন সাময়িক উত্তেজনা বা কোনও প্ররোচনাতে গুরুত্ব দেবেন না।”

পাশাপাশি উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন “আচার্য সম্মতি যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি উচ্চশিক্ষা দফতরেরও সম্মতি লাগে উপাচার্য নিয়োগের জন্য। আমরা বারবার বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের কথা। কেউ যদি গৈরিকীকরণ করতে চায় সেটা উপাচার্যদের দেখতে হবে। “শিক্ষামন্ত্রীর এদিনের মন্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত ফের শুরু হল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে রাজ্যপাল আচার্য হিসেবে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। সেই প্রসঙ্গ নিয়েও এদিন সরব হন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন “আমি জানি না রাজ্যপাল কোথা থেকে টাকা দিচ্ছেন। সেটা আমাকে দেখতে হবে। এর কোনও আইনি সংস্থান আছে নাকি তাও দেখতে হবে।”

প্রসঙ্গত আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী এই বিল ১০ মাস আগেই রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়েছে। তারপরেও কেন এই বিল সই করছেন না রাজ্যপাল তা নিয়ে ফের এদিন প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলন করে এদের শিক্ষা মন্ত্রী বলেন “আমরা আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকেই দেখতে চাই। এটাই আমরা এখন চাই।” যদিও উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে পাঠানো চিঠির উত্তর এখনও রাজভবন দেয়নি বলেই দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিন রাজ্যে বাবাসাহেব আম্বেদকার এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় বা বি. এড বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। পাশাপাশি বাবা সাহেব আম্বেদকারের জন্ম জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেন। সবমিলিয়ে এ দিনের শিক্ষামন্ত্রীর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পর ফের রাজ্যপাল সংঘাত বাড়াল বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

(Feed Source: news18.com)