জামালপুর প্রতিনিধি : বাংলা নিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক গোলাম রাব্বানীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়ার ৩ দিনেও মামলা আমলে নেয়নি বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশের দাবি, সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলায় নয়, হাতাহাতি হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনকারী শামীম ও স্বপনসহ তাদের সহযোগীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। সাংবাদিক নাদিমকে অভিযোগ তুলে নিতে নানা হুমকি দিচ্ছে।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বলেন, শামীম ও স্বপনসহ আমার উপর হামলাকারী থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে নানা হুমকী দিচ্ছে।
প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে শত শত লোকের সামনে আমার উপর হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ বলছে তদন্ত করে দেখা হবে ঘটনা ঘটেছে কিনা?
আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার ৩দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা আমলে নিচ্ছেনা বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সাংবাদিক নাদিম আরো জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম দলীয় পদলাভের পর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাদিম।এই বিষয় গুলো নিয়ে শাহীনা বেগম সাংবাদিক নাদিমের উপর ক্ষিপ্ত হন।
শাহিনার নির্দেশে শামীম,স্বপন, শেখ ফরিদ ও হেলালসহ একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা দিয়ে বেদম প্রহার করে। আমি হাতে, পায়ে, পিঠে, মাথায় ও চোখে আঘাত পেয়েছি।
গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাদিম পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বকশীগঞ্জ মধ্যবাজারে এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম।
পরদিন ১২ এপ্রিল গোলাম রব্বানী নাদিম বাদি হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা বেগমকে প্রধান আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
একই দিন খায়রুল ইসলাম মিলন বাদি হয়ে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।
হামলাকারীরা পাল্টা অভিযোগ দেয়া সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হয়রানী শংকায় রয়েছেন।
সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা শামীম মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, নাদিম বিভিন্ন সময় আমাদের দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে। সে আমার বন্ধু, তাকে এসব করতে অনেক নিষেধ করেছি। তবে আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম মুঠোফোনে বলেন, আমি এখানে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে নাদিম নানাকিছু লেখালিখি করছে। তবে তাকে মারধরের ঘটনার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন।
এবিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ঘটনাস্থলের কেউ বলতে পারে না নাদিমকে হামলা করা হয়েছে। শুধু হাতাহাতির বিষয়ে জেনেছেন, হাতাহাতির ঘটনায় মামলা হতে পারে না। তবুও তারা বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বসহকারে দেখছেন।
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের উপর হামলার ঘটনায় জামালপুর প্রেসক্লাব ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অন্যান্য সংগঠনের সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দাবি দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন।
(Feed Source: sunnews24x7.com)