কেষ্টগড়ে সভা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখান থেকে একেবারে আগুন ঝড়ানো বক্তব্য। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপরদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তির ছুঁড়েছেন শাহ। তবে শাহের সভা শেষ হতেই সন্ধ্যায় টুইট করলেন অভিষেক।
তিনি লিখেছেন, আপনি অনেক কিছুই বললেন কিন্তু বিজেপি বাংলায় যে ক্ষতি করে চলেছে সেব্যাপারে কিছুই বললেন না। আমার অস্তিত্ব যদি আপনাকে এতই কষ্ট দেয়, তাহলে বাংলাকে তার হকের ১.১৫ লাখ কোটি টাকা মিটিয়ে দিন। আমি রাজনীতির সব মঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেব।
এদিন বীরভূম থেকে সরাসরি অভিষেককে নাম না করে আক্রমণ করেছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, মমতা দিদি যতই স্বপ্ন দেখুন যে তাঁর ভাইপো পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন, আমি বীরভূমে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি বিজেপি নেতাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে সরাসরি আক্রমণ।
তিনি আরও বলেছিলেন, বাংলার মানুষকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই দিদির। তাঁর শুধু একটাই লক্ষ্য কীভাবে ভাইপোকে মুখ্য়মন্ত্রী বানানো যায়। দিদি-ভাইপো জুটিকে হারানোর একটাই রাস্তা হল বিজেপি।…এদের অধিকাংশ মন্ত্রী গরাদের ভেতরে। এত টাকা চুরি করেছে যে মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে ট্রাকে ভরে টাকা নিয়ে যেতে হয়েছে ইডিকে। এরপর সেই সভা মিটতেই কড়া টুইট করলেন অভিষেক। কিন্তু সেখানে ফের সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ধনধান্য় অডিটোরিয়াম উদ্বোধনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা ভাঙব না। মমতা বলেছিলেন, না দিক। দরকার হলে শাড়ির আঁচল ধরে মায়েদের কাছে ভিক্ষা চাইব। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। যেমন করে হোক চালিয়ে নেব।
আর শুক্রবার অমিত শাহের সভার শেষেও সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকেই টুইটে টেনে এনে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেখানে দুর্নীতির কোনও প্রসঙ্গ তোলেননি অভিষেক। কিন্তু এই ভয়াবহ দুর্নীতির প্রসঙ্গই এদিন বার বার উত্থাপন করে তৃণমূলকে বিঁধেছেন অমিত শাহ। কিন্তু অভিষেকের জবাবে সেই দুর্নীতির কোনও প্রসঙ্গ নেই।
তবে অমিত শাহ কিন্তু এদিন তাঁর বক্তব্যে বার বারই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী বানানোর স্বপ্ন পূরণ হবে না মুখ্য়মন্ত্রী মমতার। তবে এর জবাব দিতে গিয়ে কার্যত সেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা টেনে এনেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকেও সরে যেতে তিনি রাজি।
(Feed Source: hindustantimes.com)