চাকরির নামে টাকা নয়ছয়, ভুয়ো চাকরি বিক্রি করেছিলেন ১১ লক্ষ টাকায়, তারপর…

চাকরির নামে টাকা নয়ছয়, ভুয়ো চাকরি বিক্রি করেছিলেন ১১ লক্ষ টাকায়, তারপর…

হুগলি: হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ। অভিযুক্তকে ধরবার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। ধরা পড়ে সেই জালে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত পার্থ মন্ডল। ধৃতকে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশরা।

১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো চাকরি বিক্রি করছিল পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুর থানার পার্থ মন্ডল। সে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল যদি না নিয়োগপত্র ‌যাচাই করার জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসতেন প্রতারিত নন্দীগ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাস। চাকরির নিয়োগ পত্র পাঠিয়ে আরও দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছিল স্বপনের থেকে পার্থ। আর তাতেই হয় কাল। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ভেস্তে যায় সমস্ত প্ল্যান।

স্থানীয় সূত্রে খবর,নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাস তার ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলী দাসের চাকরির জন্য সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ মন্ডলকে। বছর আড়াই আগে প্রতিবেশি সুদীপ্ত হাজরার পরিচিত অমিত পায়রার সঙ্গে পরিচয় হয় স্বপন দাসের। ঘাটালের নির্মলা সমাজে তার চেনা লোক আছে টাকা দিলে সরকারি চাকরি হয়ে যাবে। প্রথমে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয় দফতর পরে প্রাথমিক স্কুল তারপর স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেবার নাম করে ধাপে ধাপে সারে এগারো লাখ টাকা নেয় পার্থ।

গত ১১ এপ্রিল পোস্ট অফিস মারফত একটি নিয়োগ পত্র পান স্বপন দাস। সেটি ছিল হুগলির জেলা হাসপাতাল ইমামবাড়ার গ্রুপ ডি পদের। সেই নিয়োগ পত্রের আসল কপি পার্থ নিজের কাছে রেখে একটি জেরক্স দিয়ে দেয় স্বপন দাসকে। নিয়োগ পত্রে সরকারি সিল মারা ছিল,বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো ছিল। আরও দেড় লক্ষ টাকা দিলে তবেই চাকরিতে যোগ দিতে পারবে বলে পার্থ। স্বপন দাস তার ছেলেকে নিয়ে গতকাল ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পত্র দেখে জানিয়ে দেয় সেটি ভুয়ো।

এরই মধ্যে স্বপন দাস তার ছেলেকে নিয়ে ইমামবাড়া হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন,এরপর পার্থ মন্ডলকে ফোন করেন তিনি। দেড় লাখ টাকা না দিলে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না জানায় পার্থ। স্বপন বাবু তাকে জানান তিনি চুঁচুড়ায় আছেন টাকা নিতে হলে সেখানেই আসতে হবে। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে পরে পার্থ।

প্রতারিত স্বপন দাস জানান,তিনি জানতে পারেন পার্থ চন্ডীপুরের সিপিআইএম সদস্য।পুলিশ জানায় এই প্রতারণা চক্রে আরও লোক আছে।তাদের খোঁজ চালানো হবে। আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত পার্থ মন্ডলের দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ জনিয়েছে পার্থর কাছ থেকে একটি নিয়োগ পত্র পাওয়া গেছে।

(Feed Source: news18.com)