দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে মাকে কারা যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছে দেখতে পেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ছেলে দৌড়ে পালিয়ে এসে রাস্তার উপর বসে কাঁদছিল। বিষয়টি পথচারী তিন যুবকের নজরে আসে। তাঁরা সবটা শুনে ছেলেকে নিয়ে গিয়ে খোঁজ চালাতেই দেখেন খালের জলে মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন সাহেবা বিবি। ঢোলাহাটের এই ঘটনায় মৃত বধূর স্বামী ও তাঁর আত্মীয়দের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। মঙ্গলবার রাতে সাহেবা বিবির দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে খুনের অভিযোগে বুধবার আতিয়ার শেখকে (৪৫) গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ওই বধূর আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।
আতিয়ার শেখকে পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার লক্ষ্মী-নারায়ণপুর দ্বরী কৌতলা থেকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আতিয়ারকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহেবা বিবি স্বামী নাসিরউদ্দিন শেখের সঙ্গে নামখানার পাতিবুনিয়াতে থাকতেন। তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা আছে। পরবর্তীতে কাজের খোঁজে নাসিরউদ্দিন ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। এক সময় সেখানেই দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার পাতে। এই নিয়ে নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে সাহেবা বিবির ঝামেলা বাঁধে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলবেন বলে মঙ্গলবার সকালে ছেলে সেলিমকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন সাহেবা। কিন্তু তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। ঐদিন রাতেই তাঁর ছেলে সেলিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢোলাহাটের শিমুলবেড়িয়া পাওয়ার হাউসের নিকটবর্তী খাল থেকে সাহেবা বিবির দেহ উদ্ধার হয়।
(Feed Source: news18.com)