মৃত স্বামীর বাবা মাকে কি ভরণপোষণ দিতে বাধ্য বিধবা স্ত্রী? বিরাট রায় আদালতের

মৃত স্বামীর বাবা মাকে কি ভরণপোষণ দিতে বাধ্য বিধবা স্ত্রী? বিরাট রায় আদালতের

স্বামীহারা মহিলাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, স্বামী প্রয়াত হয়েছেন অর্থাৎ সেই স্বামীহারা বিধবা মহিলাকে তাঁর শ্বশুর শাশুড়ি জন্য কি ভরণপোষণের খরচ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আদালতের রায়, ওই বিধবা মহিলাকে তাঁর শ্বশুর শাশুড়ির ভরণপোষণের খরচ দিতে হবে না।

 আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি কিশোর সন্ত গত ১২ এপ্রিল এনিয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৩৮ বছর বয়সি এক মহিলা শোভা তিড়কে আদালতে পিটিশন দিয়ে জানিয়েছিলেন, ন্য়ায়াধিকারী গ্রাম ন্য়ায়ালয় এই ভরণ পোষণ দিতে বলছে। কিন্তু সেই নির্দেশকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেন। ওই আদালত তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল তাঁর মৃত স্বামীর বাবা মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।

হাই কোর্ট ওই নির্দেশে জানিয়েছে. ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের ১২৫ সেকশনে এটা পরিষ্কার যে শ্বশুর, শাশুড়ির কথা তাতে উল্লেখ করা নেই।

এদিকে শোভার স্বামী মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে কাজ করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি রাজ্য সরকার পরিচালিত মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে কাজ করা শুরু করেন। এদিকে তাঁর ৬৮ বছরের শ্বশুর ও শাশুড়ি দাবি করেছিলেন, তাদের আয়ের কোনও উৎস নেই। ছেলের মৃত্যুর পরে তাঁদের আর কিছু করার নেই। সেকারণেই তাঁরা ভরণপোষণের জন্য় টাকা চেয়েছিলেন।

তবে ওই বিধবা মহিলা জানিয়েছিলেন, প্রয়াত স্বামীর বাবা মায়ের নিজস্ব জমি রয়েছে। তাদের গ্রামে বাড়ি রয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রয়াত ছেলের অফিস থেকে তাঁরা ১.৮৮ লাখ টাকা পেয়েছেন।

হাই কোর্ট তার নির্দেশে উল্লেখ করেছে শোভা তাঁর চাকরিটি ক্ষতিপূরণের গ্রাউন্ডে চাকরি পেয়েছেন কি না সেটা কিছু উল্লেখ করা নেই।

আদালত জানিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী পরিবহণ দফতরের চাকরি করতেন। আর স্ত্রী বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করছেন। সেকারণ এটা পরিষ্কার যে এই নিয়োগ ক্ষতিপূরণের গ্রাউন্ডে হয়নি। এর সঙ্গেই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুর পরে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই ব্য়ক্তির পিতা মাতা অর্থ পেয়েছেন। তাঁদের নিজেদের জমিও রয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালতের পর্যবেক্ষণ আবেদনকারীর কাছ থেকে ভরণপোষণের অর্থ পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই ওই মৃত ব্যক্তির বাবা মায়ের নেই।

(Feed Source: hindustantimes.com)