ওঙ্কার সরকার, কলকাতা: মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল রাজ্যে। মঙ্গলবার মধ্য রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মন্টু রাম বর নামে ৬৯ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই বৃদ্ধ। গত বুধবার রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর দাস নামে এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিন দিন ভর্তি ছিলেন।

দেশ তথা রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা। স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সেই বিষয়ে নজর রেখে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে বয়স্ক মানুষ- শিশু, কোমর্বিডিতে আক্রান্ত, অন্তঃসত্তাদের ভিড় এড়িতে চলতে। সকলে যাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সেই দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কাশি, সর্দি, জ্বর হলে করোনা টেস্ট করার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। এমনকি যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হয় তবে তাঁকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের। তবে এত কিছুর মাঝেও দেশে হুহু করে বেড়ে চলেছে করোনা, কমতি নেই রাজ্যেও।

মঙ্গলবারের নির্দেশিকায় পুরোনো নিয়ম আবারও মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ভবন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর আবার জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, কারোর যদি করোনা ধরা পড়ে, তবে তাঁকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতে আইসোলেশন থাকার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এরই সঙ্গে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। নির্দেশিকা অনুযায়ী যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা,  শিশু ও বয়স্কদের এই সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে। মঙ্গলবার ফের কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্যভবনে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ  থেকে একটি ১৩ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যদি কেউ  জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ায় ভোগে তবে অবিলম্বে যেন করোনা টেস্ট করায়। রিপোর্ট পজেটিভ আসলে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন ওই ব্যক্তি। এমনকী, যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, যে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা,  শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা যদি কারোর কোভিডের উপসর্গ থাকে তবে তাঁর থেকে যেন দুরত্ব বজায় রাখেন।

এছাড়াও  যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। ভিড়ের জায়গায় গেলে মাস্ক ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এরই সঙ্গে বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করার কথা ও যদি হাঁচি কাশি হয় তবে রুমাল ব্যবহার করতেও বলা হয়েছে।  এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও রোগী অবস্থা বাড়াবাড়ির পর্যায় চলে যায় তাহলে সে যেন অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি হয়। দরকারে স্বাস্থ্য দফতরের হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৬-এ ফোনও করতে পারেন। যদি কোনও ব্যক্তি এখনও বুস্টার ডোজ না নিয়ে থাকেন অবিলম্বে সেই ডোজ নেওয়ার কথাও বলছে স্বাস্থ্য দফতর। এমনকী, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও কাফ সিরাপ নেওয়া থেকেও মানা করা হয়েছে নির্দেশিকায়।