েইকুয়েডরের কুইনিন্ডে এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যায় এসমেরাল্ডাস নদী। নদীতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন মৎসজীবীরা। তবে নদীর ধীরের এক জায়গায় থেকে দুর্গন্ধ আসতেই সন্দেহ জাগে। আসে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর নদীর ধারের এলাকায় মাটি খুঁড়তেই হাড়হিম করা দৃশ্য। দেখা যায়, তিন তরুণীকে মৃত অবস্থায় মাটিতে পোঁতা রয়েছে। তাঁদের হাত হ্যান্ড কাফ দিয়ে বাঁধা। ওই তিন তরুণী দেহে তখন খোলামেলা পোশাক। দেখা যায়, খুন গলা কেটে করা হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার এমন নৃশংস খুনের ঘটনায় নানান প্রশ্ন উঠছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ১৯ বছরের ডেনিস রেইনা, ২১ বছরের জুলিয়ানা মাসিয়াস, ২২ বছরের নায়েলি তাপিয়ার মৃত্যু ঘিরে। যাঁদের মৃত্যুর আগে, তাঁদের প্রিয়জনরা পেয়েছেন পর পর হাড়হিম করা মেসেজ। প্রতিটি মেসেজেই লেখা ছিল, সম্ভবত তাঁদের সঙ্গে কিছু খারাপ ঘটতে পারে, তার আভাস দিয়ে নায়েলি তাঁর বোনকে লাইভ লোকেশন পাঠান ঘটনাস্থলের। নায়েলির পাঠানো মেসেজর সময়ই ডেনিসও তাঁর ঘনিষ্ঠকে কার্যত কোনও মর্মান্তিক কিছুর আশঙ্কা করে মেসেজ করেন। এদিকে, দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ জানাচ্ছে, অন্তত ৩ দিন ঈগে ওই খুন হয়েছে। তাঁদের গলা কেটে খুন করা হয়েছে। পেশাগতভাবে জুলিয়ানা সঙ্গীতশিল্পী, ডেনিস কৃষিবিদ্যা সম্পর্কিত ইঞ্জিনিয়ার ও নায়েলি একজন মা। কে বা কারা তাঁদের এভাবে খুন করতে পারে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, তাঁদের করা মেসেজর একটিতে লেখা রয়েছে ‘আমার মনে হচ্ছে কিছু খারাপ ঘটতে চলেছে’। গত ৪ এপ্রিল থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। এরপরই প্রশাসনিক তৎপরতায় উঠে আসে ভয়াবহ ঘটনা। পুলিশি রিপোর্ট বলছে, মহিলাদের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের খুব অত্যাচার করে তারপর খুন করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, আমেরিকার স্যান ডিয়েগো থেকে ইকুয়েডরের সমুদ্র সৈকতে এই তিন মহিলা ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ইকুয়েডর পৌঁছতে তাঁরা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেন। শুরু হয় গোছগাছ। এরপর ইকুয়েডরের উদ্দেশে রওনা হতেই, তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। জানা যাচ্ছে, ৪ এপ্রিল নায়েলা তাঁর বোনকে লেখা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠান রাত ১১.১০ মিনিটে। সেখানে লেখা ছিল ‘আমি মেসেজ পাঠাচ্ছি, যদি কোনও প্রয়োজন হয়’। যে অবস্থায় তাঁদের দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের মুখ একটি কাপড়ে ঢাকা। পুলিশ বলছে, বিচের পোশাক, স্নান করার পোশাক ছিল মৃত মহিলাদের গায়ে। বিভিন্ন সূত্র যোগ করে পুলিশ খোঁজার চেষ্টা করছে আসল অপরাধীকে।
(Feed Source: hindustantimes.com)