কম পড়ছিল ট্যাটুর জায়গা, তাই স্তনবৃন্ত ও নাভির অংশ কেটে বাদ দিলেন এই ব্যক্তি

কম পড়ছিল ট্যাটুর জায়গা, তাই স্তনবৃন্ত ও নাভির অংশ কেটে বাদ দিলেন এই ব্যক্তি

সিলভেইন এইচ লেইন, বয়স মাত্র ৩৭। সারা শরীর জুড়ে তাঁর ট্যাটু আর ট্যাটু। মোট কটা ট্যাটু করিয়েছেন এই যুবক? হিসেব বলছে ৬০টিরও বেশি উল্কি কেটেছেন নিজের সারা শরীরে। এমনই ট্যাটুপ্রিয় মানুষ তিনি। সব মিলিয়ে এতগুলি ট্যাটু করতে কম খসেনি তাঁর। রীতিমতো ৫৭ হাজার ডলার গচ্চা গিয়েছে ট্যাটু করাতে। তবে এত কিছু করেও নাকি জায়গা কম পড়ছিল শরীরে। ঠিকভাবে করা যাচ্ছিল না ট্যাটু। তাই দুই স্তনের বৃন্ত আর নাভিটাই কেটে বাদ দিলেন সিলভেইন। আর এই কান্ড করেই আপাতত খবরের শিরোনামে পারিসিয়ান প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষক। শুধু শিক্ষকতাই তিনি করেন, এমনটা নয়। একইসঙ্গে মডেলিং ও পারফরমার হিসেবেও খ্যাতি আছে সিলভেইনের।  তবে ট্যাটুর প্রতি প্রাণপণ ভালোবাসাই তাকে নিয়ে এল খবরের শিরোনামে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এ নেহাত নতুন শখ নয় সিলভেইনের। বয়স যখন ২৭ বছর তখন থেকেই নিজের গায়ে ছবি খোদাই শুরু তাঁর। সেই শখই ধীরে ধীরে বয়ে নিয়ে চলেছেন এতদিন‌। ১০ বছর আগের সেই ট্যাটুপ্রেম এবার যেন ‘পূর্ণতা’ পেল। জায়গা কম পড়ছিল বলেই রেয়াত করলেন নিজের স্তনবৃন্তকেও‌। নাভি সমেত স্তন বৃন্ত কেটে বাদ দিলেন। এবার সেখানেই বাকিটা। শরীরর কোথায় কোথায় ট্যাটু করিয়েছেন সিলভেইন? যে যে অঙ্গের ছবি ভাবতে পারবেন, ভেবে নিতে পারেন। তাছাড়াও আর দুটো অঙ্গের কথা না বললেই নয়। তাঁর চোখের মণি ও মাড়িতেও রয়েছে ট্যাটু।

কীভাবে শুরু হল সিলভ্যানের ট্যাটু যাত্রা? সংবাদমাধ্যমকে শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০১২ সালে লন্ডনের ডালউইচ কলেজে পড়ানো শুরু করেছিলেন সিলভেইন। সেই সময় নিজের জীবন নিয়ে একরকম অনিশ্চয়তা ভুগতেন তিনি। জীবনের কোনও লক্ষ্য খুঁজে পাচ্ছিলেন না যেন। তখনই একদিন দেখা হয় একজন এইচএসবিসির কর্মীর সঙ্গে। তাঁর গলায় ট্যাটু আঁকা। এরপর ম্যাকডোনাল্ডে খেতে গিয়েও চোখে পড়ে ট্যাটু দৃশ্য। এক ব্যক্তির দুই হাতে আঁকা উল্কি। এরপরেই জীবনের ‘সেরা’ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন সিলভেইন। শুরু হয় তাঁর ট্যাটুযাপন।

(Feed Source: hindustantimes.com)