ধর্ষণ না সম্পর্কের কারণে আত্মহত্যা? তদন্তের আগে মন্তব্য কেন? প্রশ্ন কুণালের

ধর্ষণ না সম্পর্কের কারণে আত্মহত্যা? তদন্তের আগে মন্তব্য কেন? প্রশ্ন কুণালের

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু কালিয়াগঞ্জের ছাত্রীর। কিন্তু মানতে নারাজ মেয়েটির পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। শাসকদল পুলিশের দাবির উপরেই ভরসা রাখছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই আত্মহত্যা নয় তো? রবিবার রাজ্য পুলিশের সুর ধরে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন,’কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছে। ময়নাতদন্ত ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু এ নিয়ে পুলিশ উত্তর দেবে। দল এ বিষয়ে কিছু বলবে না।’ তবে এই মৃত্যু ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন,’কেন্দ্রের রিপোর্টেই তো বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ নিরাপদতম রাজ্য।’ কুণাল বলেন,’ কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, অত্যাচারে না অভিমানে, রাজনীতি না ব্যক্তিগত সম্পর্ক? তা তদন্তের বিষয়। তদন্তের আগেই বিজেপি কেন মন্তব্য করছে?’

কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বিজেপির মন্তব্য করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘বিজেপি সমাজ বিরোধীদের মতো আচরণ করছে। গুণ্ডামি করছে। বিজেপি শকুনের রাজনীতি করছে। কার সঙ্গে কী সম্পর্ক, জনে জনে পাহারা দেওয়া সম্ভব?’

কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য এসেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এই মৃত্যু নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কমিশনের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন কুণাল। চেয়ারপার্সনকে তাঁর কটাক্ষ, ‘আপনারা নিয়মিত যাতায়াত না করে কেওড়াতলা আর নিমতলায় (শ্মশানে) বসে থাকুন। সারাদিনে বহু মৃতদেহ আসে। প্রত্যেক মৃতদেহ সম্পর্কে বিবৃতি দিন। ডেলি প্যাসেঞ্জারি না করে কেওড়াতলা না নিমতলায় একটা শাখা খুলুন।’

(Feed Source: hindustantimes.com)