‘চাইলে নায়িকা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারতাম’, কেরিয়ার নিয়ে অকপট প্রেরাণা

‘চাইলে নায়িকা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারতাম’, কেরিয়ার নিয়ে অকপট প্রেরাণা

কলকাতা:  চলতি সপ্তাহে বেঙ্গল টপার ‘জগদ্ধাত্রী’। এখন মেগায় সাংভি’র বিয়ে দেখানো হচ্ছে। ‘সাংভি’র বিয়ের আবহেই ধারাবাহিকের টিআরপি তালিকায় শীর্ষে স্থান করে নিল ‘জগদ্ধাত্রী’। সবটা মিলিয়ে পর্দার ‘সাংভি’ প্রেরণা ভট্টাচার্য কতটা উচ্ছ্বসিত? সেই অনুভূতি জানতে চেয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিউজ ১৮ বাংলা ডটকমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এই মেগায় কাজের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে তাঁর অভিনয় জীবনের নানা খুঁটিনাটি  ভাগ করে নেন।

সাংভির বিয়ের কারণেই কী ‘জগদ্ধাত্রী’ টিআরপি তালিকায় সেরার সেরা? এ বিষয়ে অভিনেত্রী বক্তব্য শুধু এই কারণেই জগদ্ধাত্রী বেঙ্গল টপার হয়নি। আগেও যখন সাংভির বিয়ের বিষয়ে কিছু দেখানো শুরু হয়নি, তখনও কিন্তু বহুবার শীর্ষে থেকেছে এই মেগা। তাঁর মতে লেখক-প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর অসাধারণ লেখনী, নানা টুইস্ট, সকলকে ভাল অভিনয় সবটা মিলিয়ে ‘জগদ্ধাত্রী’ দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, “গল্পটা যেমন দর্শকদেরও দেখতে ভাল লাগছে, একজন অভিনেত্রী আমারও কাজটা করতে ভীষণ ভাল লাগছে। আর আমার চরিত্রটা নিয়ে যে স্নেহাশীষ দা এতটা ভেবেছেন, এই ধারাবাহিকের অংশ হিসেবে দর্শকদের কাছ থেকে যে এত ভালবাসা পাচ্ছি, এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।”

‘জগদ্ধাত্রী’র পাশাপাশি স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেত্রী আগে ‘ভালবাসা ডটকম’, ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’-সহ বিভিন্ন মেগায় কাজ করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে  অভিনেত্রী বলেন ” ওঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। স্নেহাশীষদা ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’তে একদম নেগেটিভ একটা চরিত্র দিয়েছিলেন তারপর ‘জগদ্ধাত্রী’তে আবার এত পজিটিভ চরিত্র দিয়েছেন। আমাদের ইন্ড্রাস্টিতে খুবই টাইপ কাস্ট হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। সেখানে আমাকে যে উনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজের সুযোগ দিচ্ছেন।  একজন শিল্পীকে নিয়ে উনি এইভাবে ভাবছেন এটা ভীষণ বড় ব্যাপার একজন শিল্পী হিসেবে।”

অভিনয় জীবনের শুরুটা যীশু দাশগুপ্তের ‘ভোরের খুব কাছে’ ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রে। তবে বর্তমানে নায়িকা হিসেবে আর কাজ হয় না, এ বিষয়ে কী কোনও খারাপ লাগা আছে? জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী কনও দ্বিধা ছাড়াই বলেন, ” একটু তো খারাপ লাগা আছেই। কারণ আমাদের মতো বয়স যাদের, তাদের এখন আর নায়িকার চরিত্রে ভাবা হয় না। আমাদের থেকে কম বয়সিদেরই নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। মেগার আগের রিসার্চ অনুযায়ী দর্শকরা নাকি এমটাই ভালবাসেন। তাই আর অন্যভাবে কেউ ভাবে না। অবশ্য এর মধ্যেও কিছু ব্যতিক্রমী কাজ হয়েছে, বয়সটা সেখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে সেখানে যাঁরা কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তাঁরা অবশ্য ইন্ডাস্ট্রির খুবই পরিচিত মুখ।” কিন্তু কোন বিষয়ই একভাবে বহুদিন চলে না। ফলে আজ থেকে কিছু বছর পর যে এই ভাবনারও যে পরিবর্তন হবে, তা নিয়ে ভীষণ ভাবে আশাবাদী অভিনেত্রী । তিনি আরও বলেন ” চাইলে হয়তো নায়িকার চরিত্রের জন্য আমি অপেক্ষা করতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি। কারণ আমি বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে দেখতে চেয়েছি। নায়িকা নয় বরং একজন অভিনেত্রী হয়ে উঠতে চেয়েছি।”

প্রেরণাকে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। বিনোদনের অন্যান্য মাধ্যমে তাঁকে দেখতে পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ” আপাতত এই কাজটা করছি। মেগায় কাজের জন্য আমাকে কখনওই অপেক্ষা করতে হয়নি। কিন্তু সিনেমা বা ওটিটিতে কাজের সুযোগ আমার কাছে সেভাবে এখনও আসেনি। আসলে আমার ইন্ড্রাস্টির মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ খুব বেশি নেই। হতে পারে তার জন্যই আমার কাছে সে ভাবে সুযোগ আসে না।” যদি সুযোগ আসে তবে কী ধরনের চরিত্র করতে চাইবেন তিনি? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রেরণা বলেন, ” চরিত্রের দৈর্ঘ্য না, বরং সেটা মানুষের মনে কতটা ছাপ ফেলতে পারবে সেটা দেখেই চরিত্র নির্বাচন করব।”

(Feed Source: news18.com)