54 বছর ধরে সংসদীয় রাজনীতিতে সক্রিয় শরদ পাওয়ার মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) জোট নিয়ে একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল মহারাষ্ট্রে আঘাদি হবে কি না, জানা নেই। এরপরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।
মহারাষ্ট্রে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) এবং কংগ্রেসের মধ্যে আঘাদি জোটের ভবিষ্যত হুমকির মুখে৷ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার অমরাবতীতে বলেছেন যে আজ আমরা আঘাদির অংশ। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই, কিন্তু ইচ্ছা দিয়ে কী হয়। তিনি আরও বলেন, আরও বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। আঘাদি চলবে কি চলবে না তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।
অমরাবতীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন পাওয়ার। এমতাবস্থায়, মহা বিকাশ আঘাদি জোট একসঙ্গে নির্বাচনে লড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর দেন যে এটি এখনও পরিষ্কার নয়।
তিনি আরও বলেন, আসন বণ্টন থেকে শুরু করে নানা সমস্যা রয়েছে। যেগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। দলগুলোর নিজস্ব থিম আছে। সুতরাং আমরা এখন কীভাবে বলতে পারি যে এমভিএ দলগুলি 2024 সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে লড়বে কি না।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রবিবার জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ারও কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি অনুভব করেছিলেন যে মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি-র তিনটি আসনেরই 2024 সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। তবে দল ও জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঔরঙ্গাবাদ এবং ওসমানাবাদ জেলার নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে, পাওয়ার বলেছিলেন যে বিষয়টি এমভিএ-র কমন ন্যূনতম প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত ছিল না এবং সিদ্ধান্তের পরেই তিনি এটি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। নেওয়া হয়েছিল। পাওয়া গিয়েছিল
বাবনকুলে হামলা চালায়
শারদ পাওয়ারের বক্তব্যকে নিশানা করেছেন মহারাষ্ট্রে বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে। তিনি বলেন, এই জোট কতদূর যাবে তা নিয়ে জনগণের পাশাপাশি তাদের নেতারাও মহা বিকাশ আঘাদি নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। বাওয়ানকুলে বলেছেন যে শরদ পাওয়ার যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। পাওয়ার সাহেব শীঘ্রই খুঁজে বের করবেন যে তাঁর নিজের লোকেরা যাকে পরিত্যাগ করেছেন তিনি সত্যিই এমভিএ নেতৃত্ব দিতে পারেন কিনা।