স্বামীর রোজগারে চলে না, ঘর সামলে কিচেন গার্ডেনের কাজে নামেন এই গ্রামের মহিলারা

স্বামীর রোজগারে চলে না, ঘর সামলে কিচেন গার্ডেনের কাজে নামেন এই গ্রামের মহিলারা

কালিয়াগঞ্জ: ঘরের কাজ সেরে মাঠের কাজে ব্যস্ততা। তাঁরা সবেতেই পারদর্শী। চাষের জমিতে দিনভর তাঁরা একাই খাটেন, দরকার পড়ে না কোনও পুরুষের। সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফেরাতে চাষবাসই প্রধান জীবিকা এই গ্রামের মহিলাদের। এই গ্রামে পুরুষদের চাষের কাজে প্রবেশের কোনও অধিকার নেই। চাষবাসের সমস্ত কাজ এখানে মহিলারাই করেন, লাগে না কোনও পুরুষের সহযোগিতা।

স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে অন্যরকম চাষবাসের এক পরিবেশ তৈরি করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার যোগপুকুর গ্রামের মহিলারা। তাঁরা একসঙ্গে একত্রিত হয়ে বাড়ি লাগোয়াজমিতে ফলাচ্ছেন বেগুন, লঙ্কা, বরবটি-সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। যার ফলে এখন মুখে হাসি ফুটেছে গ্রামীণ এই এলাকার প্রমীলা বাহিনীর।

একটা সময় কাজ না থাকার জন্য বাড়িতে সমস্যার সসম্মুখীন হতে হত এই সব মহিলাকে। এখন গ্রামেই কাজ, তাও আবার গ্রামেরই সবাই মিলে। শুরুর দিকে চাষবাসে একটু জড়তা থাকলেও এই গ্রামে এখন মহিলারাই হর্তাকর্তা।

সংসারের হাল ফেরাতে নিজেরাই মাঠে নেমে সমস্ত সবজি চাষ করে চলেছেন এই গ্রামের মহিলারা। সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে এই মহিলারা পুরুষের সহযোগিতা ছাড়াই বিভিন্ন রকম ফসল ফলাচ্ছেন মাঠে। বাড়ির পাশেই কিচেন গার্ডেন তৈরি করে পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে চাষ করছেন কোনও রাসায়নিক সার ছাড়াই। পুরোটাই জৈব পদ্ধতিতে।

মহিলারা জানান, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে নানা ধরনের সবজি চাষ করেন মাঠে। আর এই সবজিগুলি কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করে তাঁরা এখন স্বনির্ভর। এই গ্রামের সকল স্তরের মহিলারা সংসারের কাজ সামলে লেগে পড়েন চাষাবাদের কাজে।

মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীরা কৃষিকাজ করলেও স্বামীর টাকায় সংসার চলে না তাই তাঁরা নিজেরাই মাঠে নেমে চাষাবাদ করেন। মহিলাদের এই উদ্যোগে খুশি কালিয়াগঞ্জের কৃষি দফতরের আধিকারিক মৌমিতা সরকার।

(Feed Source: news18.com)