কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগের আইনে বদল আনতে চেয়ে অর্ডিন্যান্স গেল এ বার রাজভবনে। রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত জল্পনার মাঝেই অর্ডিন্যান্স এর ফাইল রাজ্যের পক্ষ থেকে পাঠানো হল রাজভবনে বলেই সূত্রের খবর। অর্ডিন্যান্স যেতে দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয় সেই বিষয়েও রাজভবনে অনুরোধ পাঠিয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। তিন সদস্যের পরিবর্তে ৫ সদস্যে সার্চ কমিটি উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠন করতে চায় রাজ্য। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পরামর্শেই এই বদল বলেই সুত্রের খবর। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই আইনকে তড়িঘড়ি কার্যকরী করার জন্য অর্ডিন্যান্স আনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল। তারপরই রাজভবনে পাঠানো হয়েছে ফাইল।
যদিও রাজ্যপাল এখন রাজ্যের বাইরে থাকলেও আগামিকালই তিনি কলকাতায় ফিরছেন। প্রসঙ্গত উপাচার্য নিয়োগের আইনে বড়সড় বদল আনছে রাজ্য। সেই আইনেই বদলানোর জন্য গত সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই অনুমোদন হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৈরি করা সার্চ কমিটিতে এবার তিনজন প্রতিনিধি নয়, থাকবে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি। পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে নিয়ে ইউজিসির মনোনীত প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিতে রাখা হচ্ছে। সেই অডিন্যান্স কার্যকর হলেই উপাচার্য নিয়োগের আইনে বড়সড় বদল আসবে রাজ্যে।
নবান্ন সূত্রে খবর, যে পাঁচ সদস্য সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত আকারে তৈরি করা হয়েছে তাতে ইউজিসির মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন, রাজ্যপালের মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন, বিশ্ববিদ্যালয়-এর কোর্ট বা সেনেটের মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন, উচ্চ শিক্ষা সংসদের মনোনীত প্রতিনিধি ও রাজ্যের মনোনীত প্রতিনিধি থাকবেন। এই পাচ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়েই তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি। সম্প্রতি উপাচার্যদের কাছ থেকে পদত্যাগ পত্র নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আচার্য তথা রাজ্যপাল চাইছেন রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে স্থায়ী উপাচার্য দ্রুত নিয়োগ করা হয়। নবান্ন সূত্রে খবর আচার্যের প্রস্তাব মেনেই উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে বদল আনছে রাজ্য। রাজ্যের পক্ষ থেকে অর্ডিন্যান্সের ফাইল পাঠানো হলেও বর্তমান রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত জল্পনার মাঝেই রাজ্যপাল কি সেই অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দেবেন? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের অন্তরে।
সূত্রের খবর রাজভবন যদি এই ফাইলে অনুমোদন না দেন তার বিকল্প ভাবনা ও ভেবে রেখেছে দফতর। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার বিলকে দ্রুত কার্যকর করার জন্য রাজ্যপালের কাছে দাবি রেখেছেন। নৈতিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এমনও মন্তব্য করেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে এতে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত জল্পনা আরও বেড়েছে। আর তার মাঝি অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত ফাইল পাঠানোই ফের নতুন করে সংঘাত শুরু হবে নাকি সহযোগিতার বার্তা আসবে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।
(Feed Source: news18.com)