১০০টি ভয়েস রেকর্ডিংয়ের একাধিক চেনা গলা! জীবনকৃষ্ণের ফোন থেকে বিস্ফোরক রহস্য

১০০টি ভয়েস রেকর্ডিংয়ের একাধিক চেনা গলা! জীবনকৃষ্ণের ফোন থেকে বিস্ফোরক রহস্য

কলকাতা:  তদন্তে উঠে এসেছে,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল জীবনকৃষ্ণ সাহার। জীবনকৃষ্ণ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে উঠে এসেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা সকলের জানা৷ মুর্শিদাবাদ,বীরভূম নদিয়া জেলার মানুষরা তাঁর প্রতিপত্তি দেখেছেন।প্রতিদিনই তার অফিসে নিয়োগের বিষয়ে প্রচুর মানুষ আসত।

তবে জীবনকৃষ্ণ ভবিষ্যতে ফেঁসে যেতে পারে।সেই ভেবেই আগে থেকে তার দুটি মোবাইল ফোনে  নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করে রেখেছিল, বলে খবর। সূত্রের খবর,জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে বেশ উঁচু দরের নেতা এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন রয়েছে। নিজে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে,ওই মোবাইল দুটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল পুকুরে। বিধায়ক জীবন বাবু জানতেন,মোবাইল ফোন জলে ফেললে সেটির বোর্ড শর্ট সার্কিট হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। তার মধ্যে থাকা ডকুমেন্ট উদ্ধার করা যাবে না। তার জানা ছিল, মোবাইল থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া কোন কিছু রিকভারি সফটওয়্যারের মাধ্যমেই উদ্ধার করা সম্ভব।তাই তিনি মোবাইল ফোন দুটি পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।

তাঁর এটা জানা ছিল না যে, মোবাইল ফোন জলে ডোবানোর পরে ইলেকট্রিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে।কিন্তু বোর্ডের স্টোর ক্যাপাসিটির কোন পরিবর্তন হয় না।যারফলে পুকুরের জলের নিচে কাদা থেকে উদ্ধার করা মোবাইল গুলির মধ্যে একটি থেকে ১০০টি ভয়েস রেকর্ডিং উদ্ধার করেছে সিবিআই। আরেকটি উদ্ধার করার কাজ চলছে।

 সিবিআই একপ্রকারে নিশ্চিত যে,ওই রেকর্ডিংয়ের এক জনের কণ্ঠস্বর জীবনের। তারা শুধু ভয়েস টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চাইছে,জীবন কৃষ্ণের কণ্ঠস্বর সঠিক কিনা? তারপর সিবিআই একে একে যাদের সঙ্গে কথা বলেছে তাদেরকে ডাকতে পারে বলে মনে করছে সবাই।

জীবনকৃষ্ণ সাহা-র  সঙ্গে যাদের কথাবার্তা ফোল্ডারে স্টোরেজ রয়েছে ,সেই সব কণ্ঠস্বর যে অতি পরিচিত। সেটা সূত্রের মারফতে বারবার উঠে আসছে।আদালত জীবন কৃষ্ণের voice sample গ্রহণের জন্য অনুমতি দিয়েছে।তবে খুব তাড়াতাড়ি যে বড় ধরনের পর্দা ফাঁস হতে চলেছে। সেটা মোটামুটি সিবিআই এর আইনজীবীর সওয়াল জবাবে অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। জীবনকৃষ্ণ তবে এখন দারুন বিপাকে পড়েছে।

(Feed Source: news18.com)