শেষ ভরসা ছিলেন সুকন্যা, ইডি দফতরের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী!

শেষ ভরসা ছিলেন সুকন্যা, ইডি দফতরের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তরুণী!

নয়াদিল্লি: সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর বান্ধবী সুতপা পাল। কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলছেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করে নিন তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব। কারণ সুকন্যার আর কেউ নেই যে!’

তিনি নিজে ক্যানসারে আক্রান্ত। জানালেন, এতদিন ধরে তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাতেন অনুব্রত ও সুকন্যা। একসঙ্গে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। একা ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। সর্বক্ষণের সঙ্গী গ্রেফতার হওয়ায় চোখের জল বাঁধ মানছে না সুতপা পালের।

ইডি দফতরের বাইরে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওর বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়েছে, মা চলে গেছেন আগেই। আর কিছু বলার বা করার তো নেই।”  ইডি দফতরের বাইরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বারবার বলতে থাকেন” আর কিছু করার নেই।” তাঁর কথায়, “কী করব। সবই কপাল। ওর কেউ নেই, পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই।”

আক্ষেপের সুরে সুতপা পাল বলেছেন, “আমি তো কিছুই করতে পারব না। ” সুকন্যা মণ্ডলকে পোশাক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে এসেছেন তিনি। বান্ধবী সুকন্যার সঙ্গেই থাকতে চান সুতপা পাল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধায় দিল্লিতে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুকন্যা ক্রমাগত প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে থাকেন বলে ইডি সূত্রে খবর৷ এর পরেই সুকন্যােক গ্রেফতার করে ইডি৷ এর আগে সুকন্যা একাধিকবার ইডি-র নোটিসকে উপেক্ষা করে হাজিরা এড়ান বলে অভিযোগ৷ গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারয করেছিল সিবিআই৷ এর পরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি৷ এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা৷ সেই গরু পাচার মামলাতেই সুকন্যাকে গ্রেফতার করল ইডি৷

আগেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি৷ সূত্রের খবর, এর আগে প্রতি বারই  জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুকন্যা বার বারই দাবি করেছেন তিনি কিছু জানেন না৷ এমন কি, নানা অছিলায় একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি৷ তদন্তে অসহযোগিতা এবং ইডি-র কাছে সমস্ত নথি জমা না দেওয়ার জন্যই সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হল বলে খবর৷

(Feed Source: news18.com)