পৃথিবীর দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু-হোলের খোঁজ মিলল মেক্সিকোয়, অজানা রহস্যের সন্ধান

পৃথিবীর দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু-হোলের খোঁজ মিলল মেক্সিকোয়, অজানা রহস্যের সন্ধান

নয়া দিল্লি: মহাকাশ কিংবা বার্ড আই ভিউ-তে দেখলে মনে হবে যেন পৃথিবীর চোখ। অনন্য সুন্দর সে দৃশ্য। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্লু-হোলের সন্ধান পাওয়া গেল এবার। মেক্সিকোতে রয়েছে সেটি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই ব্লু-হোল থেকেই হয়তো অজানা কোনও রহস্যর সন্ধান মিলতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মেক্সিকোয় উদ্ধার হওয়া বিশালাকৃতির ব্লু হোলের গভীরতা ৯০০ ফুট। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূলের এই ব্লু হোলটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ব্লু হোল বলে ধরা হচ্ছে। এটিকে ডুবো গুহা বলেও উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। ৯০০ ফুট গভীর এই ব্লু হোলের ক্ষেত্রফল ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গফুট।

মেরিন সায়েন্স জার্নালে এই খবর ছাপা হয়েছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের কোস্টাল মেরিন সায়েন্টিস্ট ক্রিস্টোফার জি স্মিথ বলছেন, সমুদ্রের মাঝে বা কোনও দ্বীপের আশেপাশে দৈত্যাকার রন্ধ্রকে বলে ব্লু হোল। সমুদ্রের স্বাভাবিক গভীরতার চেয়ে এই ব্লু হোল গুলির গভীরতা অনেক বেশি হয়। বড়সড় গর্তের মতো আকারের এই সব ব্লু হোলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সূর্যালোক পৌঁছয় না। ফলে এর গর্ভ অন্ধকার থাকে এবং তার জলকে দেখে মনে হয় অনেক বেশি গাঢ় নীল। এর ভেতরে অক্সিজেন পৌঁছয় না।

বিজ্ঞানীরা জানান, নয়া আবিষ্কৃত এই ব্লু হোলটি চেতুমাল উপসাগরে অবস্থিত। বিশাল নীলকান্তমণিযুক্ত সিঙ্কহোলটি মূলত ২০২১ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্সে নথিভুক্ত করা হয়েছিল তা। সমুদ্রের তলদেশে খোদাই করা প্রাচীন চুনাপাথরের গুহাগুলি নীল।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে সমুদ্রের মাঝে বেলিজ সিটি এলাকায় এমন ব্লু হোলের খোঁজ পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের গাঢ় নীল জলের মধ্যে প্রবাল-শৈবাল দিয়ে ঘেরা সেই জায়গাটি দেখতে অনেকটা গর্তের মতো। ৪০০ ফুট গভীর সেই গর্তে অক্সিজেনের পরিবর্তে জলের মধ্যে ছিল হাইড্রোজেন সালফাইড। যে ডুবুরিরা রহস্য উদঘাটনে নেমেছিলেন তাঁরা কেউ ফিরে আসেননি। পরে তাঁদের মৃতেহ উদ্ধার হয় জলের তলা থেকে।

(Feed Source: abplive.com)