কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীর মৃত্যুতে রাজ্যের বক্তব্যে ‘রহস্য’ রয়েছে বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। নাবালিকার শেষকৃত্য নিয়ে রাজ্য যা বলেছে তার সঙ্গে মিল হচ্ছে না পরিবারের বক্তব্যের। এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য, কোনও ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। তাই নাবালিকার দেহ শেষকৃত্য করা হয়েছে। নাবালিকার মা আদালতে বলেন, রাজ্য ঠিক কথা বলছে না, কিশোরীর দেহ এখনও পোড়ানো হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানানো হয় আদালতের কাছে।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক। শেষকৃত্য নিয়ে পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের বক্তব্যের কোনও মিল নেই।’

বৃহস্পতিবার আদালতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, সেই রিপোর্ট বলছে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন দেহে নেই। ভারী কিছু দিয়ে বাইরে থেকে আঘাত করা হয়েছে, তারও কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে নাবালিকার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।

কিন্তু ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টে খুশি নাবালিকার পরিবার। তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চান। তখন বিচারপতি মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘কেন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন? প্রথম ময়নাতদন্তে কোথায় ভুল রয়েছে?’ তিনি রাজ্যের কাছে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব করেন।

রাজ্যে আদালতে জানিয়েছে, পুলিশ পুকুরপাড়ে প্রথম নাবালিকার দেহ দেখে। পাশে একটি বোতল জাতীয় কিছু পড়ে ছিল। পুকুরপাড় থেকে দেহ তুলে নিয়ে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। টায়ার জাতীয় কিছু জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। মাত্র তিন-চার জন পুলিশকর্মী স্থানীয় মার্কেট থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ কম থাকায় দেহ নিয়ে যেতে গিয়ে মাটিতে ছেঁচড়ে যায়। এ জন্য ইতিমধ্যেই তিন-চার জন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(Feed Source: hindustantimes.com)