বাবা বিজেপি,ছেলে তৃণমূল, মুকুল রায় ফিরতেই রসায়নের ফর্মুলাটা জানালেন শুভ্রাংশু

বাবা বিজেপি,ছেলে তৃণমূল, মুকুল রায় ফিরতেই রসায়নের ফর্মুলাটা জানালেন শুভ্রাংশু

একেবারে সরল অঙ্ক। আর অনেকেই সেই অঙ্কটা বুঝতেই বার বার হোঁচট খেয়েছেন এতদিন। দিল্লি থেকে শনিবার ফিরেছেন মুকুল রায়। এরপরই একেবারে সহজ সরল অঙ্কটা বুঝিয়ে দিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিলেন বাবাকে অপহরণের যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন সেটাও তিনি তুলে নিয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই সন্ধ্যার ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। এরপর খোঁজ খোঁজ। পরিবারের লোকজন অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খুলেছিলেন শুভ্রাংশু রায়।

অন্যদিকে দিল্লিতে বসে মুকুল রায় জানিয়েছিলেন তিনি নিজের ইচ্ছাতেই দিল্লি এসেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান। এক ঝাঁক নেতার নামও উল্লেখ করেছিলেন। তবে সূত্রের খবর শেষ পর্যন্ত কারোর সঙ্গে তাঁর নাকি দেখা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরলেন মুকুল রায়। এসে বললেন যেকোনও লোকের সঙ্গে যে কোনও লোক কথা বলতেই পারে। কারোর সঙ্গে দেখা হয়নি। কোনও কথা হয়নি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বিজেপিতেই আছি। শুভ্রাংশুর তৃণমূল করা প্রসঙ্গে বলেন, সে থাকুক। রাজনীতি যার যা ইচ্ছে করবে করবে।

শুভ্রাংশু বলেন, বাবাও স্বাধীন ব্যক্তি। আমিও স্বাধীন ব্যক্তি। কিন্তু বাবা ছেলের সম্পর্ক কোনওদিন অস্বীকার করা যায় না। বাবা বাবার সত্ত্বা নিয়ে চলবেন। আমি আমার সত্ত্বা নিয়ে চলব। বাবাকে বাবা বলেই ডাকতে হবে। অভিযোগ সেদিনই তুলে নেওয়া হয়েছে। বাবা কিছু না জানিয়ে গিয়েছিল। সেকারণেই অভিযোগ করেছিলাম। মা নেই। বাবা এসেছে। ভালো লাগছে। মাথার উপর কেউ নেই। গার্জেন হিসাবে তো আমার কেউ নেই। ভাই বোনও নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্কের সঙ্গে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।

কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কার্যত হতবাক অনেকেই। বাংলায় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের বহু ক্ষেত্রেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেখানে একই ছাদের তলায় থাকবেন বিজেপির মুকুল রায় ও তৃণমূলের শুভ্রাংশু রায়। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের রাজনীতিতে বাবা ও ছেলে ভিন্ন দল করেন এমন একাধিক নজির রয়েছে। কিন্তু নামটা যেখানে মুকুল রায় সেখানে স্বাভাবিকভাবে এনিয়ে অন্যরকম চর্চা হতে বাধ্য। তলায় তলায় অন্য় সমীকরণের খেলা রয়েছে কি না তা নিয়েও সন্দিহান অনেকেই।

(Feed Source: hindustantimes.com)