ভূতুড়ে গ্রাম নয়, গ্রামের নামই ‘ভূত’! প্রত্য়েক পুজোর আগে এই গ্রামে হয় ভূত পুজো

ভূতুড়ে গ্রাম নয়, গ্রামের নামই ‘ভূত’! প্রত্য়েক পুজোর আগে এই গ্রামে হয় ভূত পুজো

রাঁচি: এলাকার নাম খুন্তি। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূর। এই খুন্তিরই একটি গ্রাম ঘিরেই লুকিয়ে রয়েছে হাজারো রহস্য৷ রয়েছে ভয়, আতঙ্কের কাহিনিও৷ একটা সময় তো এমনও ছিল, যখন, এই গ্রামের কোনও মেয়েকেই বিয়ে করে নিয়ে যেত না অন্য গ্রামের কোনও পরিবার৷ এমনকী, বিয়ের পরে বাপের বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটত আখছাড়৷ কিন্তু কেন?

এই গ্রামের বাসিন্দা মোহন নিউজ 18 লোকালকে জানিয়েছেন, আগে তাঁদের গ্রামের কোনও মেয়েকে বিয়ে করতে চাইত না কেউ। কারণ, তাঁরা ভাবত গ্রামটি ভূতুড়ে। আসলে এর পিছনে দায়ী, এই গ্রামের অদ্ভুতুড়ে নাম৷ নামটা কী জানেন? ভূত৷ হ্য়াঁ, ঝাড়খণ্ডের খুন্তির এই গ্রামের নাম ‘ভূত’৷ ১০০ বছর আগে ব্রিটিশ শাসকেরাই এই গ্রামের এমন অদ্ভুত নামকরণ করেছিল৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, এই গ্রামে কি সত্যি সত্যিই ভূত থাকে?

প্রতিটি উৎসবেই ভূতের পূজা করা হয় এই গ্রামে

এই গ্রামের সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল, এখানে যে কোনও উৎসব উদযাপন করা হলে, প্রথমে ভূতের পূজা করা হয়। বলা হয়, ভূতের পূজা না করলে এই গ্রামের ক্ষতি হবে। মোহন বলেন, ‘‘প্রত্যেক উৎসবের আগে আমরা ভূতের পূজা করি। এর পাশাপাশি গ্রামে কেউ মারা গেলে গ্রামের লোকেরা তাঁদের বাড়ির সামনে ওম্বুলাদোর নামে একটি প্রথা পালন করেন। যাতে তাঁদের জন্য অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’’

গ্রামের মাঝখানে সমাধি

মোহন জানান, তাঁদের গ্রামের মাঝখানে গ্রামবাসী তাঁদের পূর্বপুরুষদের জন্য একটি সমাধিস্থল তৈরি করেছেন। এই গ্রামের মানুষ করেন যে, ভূতের পূজা করলে গ্রামে সমৃদ্ধি আসবে। যদিও ভূত মানে কোনও ভূত নয়, বরং আমাদের পূর্বপুরুষেরা।

(Feed Source: news18.com)