ইডির নজরে এবার এডটেক সংস্থা বাইজু’স। বাইজু’সের কর্ণধার রবীন্দ্রন বাইজু’সের মালিকানাধীন তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালাল অবৈধ অর্থ সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। ‘ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রবীন্দ্রন এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে।
বাইজু’সের দুটি বানিজ্যিক এবং একটি আবাসন মিলিয়ে মোট তিনটি ক্ষেত্রে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি৷ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা৷ কিন্তু কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের অন্যতম সফল এই অনলাইল এডুকেশন সংস্থায় তল্লাশি চালান হল?
তদন্তকারী সংস্থার দাবি,‘‘ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি৷ বাইজু’সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রবীন্দ্রন বাইজু’সের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কয়েকবার সমন জারি করা হয়েছিল৷ তবে তিনি প্রতিবার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গিয়েছেন৷’’
কী পাওয়া গেল এই তল্লাশিতে?
২০১১ থেকে ২০২৩ এই সময়ের মধ্যেই প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকার সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে বাইজু’স৷
বিনিয়োগের নামে প্রায় ৯,৭৫৪ কোটি টাকা বিভিন্ন বিদেশী খাতে খরচ করেছে এই সংস্থা৷
বিজ্ঞাপন এবং বিপণনের নামে প্রায় ৯৪৪ কোটি টাকা বুকিং করেছে বাইজু’স৷ এর মধ্যে ফরেন জুরিডিসকেশন অর্থাৎ বিদেশী বিচারব্যবস্থার কাজে খরচেরও উল্লেখ আছে৷
২০২০-২১-এর পর থেকে কোনও ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অর্থাৎ আর্থিক বিবৃতি পেশ করেনি এই অনলাইন এডুকেশন সংস্থা৷ এমনকী, অ্যাকাউন্টগুলির কোনও অডিটও করা হয়নি, যা করা বাধ্যতামূলক৷
সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া নথি এবং তথ্য গুলিকে ব্যাঙ্কের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে৷