নয়াদিল্লি: দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই একাধিক কাটছাঁট করেছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্য়ে বদলে ফেলেছেন যাবতীয় নীতি-নিয়ম (Twitter Parental Leave)। অভিযোগ, এ বার ট্যুইটার কর্মীদের জন্য সন্তান জন্মের পর প্রাপ্ত ছুটির নিয়মেও রদবদল ঘটালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। সন্তানের জন্মের পর এতদিন ট্যুইটার কর্মীরা ২০ সপ্তাহ, অর্থাৎ ১৪০ দিন মাতৃত্ব অথবা পিতৃত্বকালীন ছুটি পেতেন। তা কমিয়ে ১৪ দিনে নিয়ে এলেন মাস্ক (Twitter)।
বিষয়টি সামনে এনেছে আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’
সংস্থার অন্দর থেকে হাতবদল হওয়া নথি প্রকাশ করে বিষয়টি সামনে এনেছে আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। আমেরিকার যে সমস্ত প্রদেশে ‘পেইড লিভ’-এর সুবিধা নেই, সেখানকার ট্যুইটার কর্মীরা এই নয়া নিয়মে বিপাকে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে ট্যুইটারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে আমেরিকার কোনও প্রদেশেই সন্তান জন্মের পর প্রাপ্ত ছুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কোনও বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নেই। তবে পরিবার এবং চিকিৎসাজনিত ছুটি আইনে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি পাওয়া যায়। তাতে বেতন না মিললেও, চাকরি হারানোর ভয় থাকে না সাধারণত। যদিও বিশেষ পর্যায়ভুক্ত কর্মীরাই এই সুবিধা পান।
তবে আমেরিকার ১২টি প্রদেশে বেতন-সহ ছুটির বিধি রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় বেতন-সহ আট সপ্তাহের ছুটি নেওয়া যায়। পরিবার এবং চিকিৎসাজনিত ছুটির আওতায় পড়ে তা। নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে বিনা বেতনে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি নেওয়া যায়। বেতন-সহ ছুটি মেলে ১২ সপ্তাহের জন্য।
স্বভাবতই মাস্কের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে নিন্দা শুরু হয়েছে। তাঁদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া গেলে, সদ্যোজাতর খেয়াল রাখা যায় ঠিক ভাবে। ফলে বিশ্রামের অবকাশ পান প্রসূতিরা। সুস্থ হয়ে ওঠার সময় পান হাতে। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন অনেকটা। দুই সপ্তাহের সময়সীমা তার জন্য একেবারেই আদর্শ নয় বলে একমত নেটদুনিয়ার সকলেই। এ নিয়ে ট্যুইটারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলনি।
লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ মাস্কের বিরুদ্ধে
আরও যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তা হল, পুরুষ এবং মহিলা কর্মীদের মধ্যে এমনিতেই বেতনের ফারাক রয়েছে। ট্যুইটারের নয়া নিয়মে, মহিলা কর্মীদের দু’সপ্তাহের মাথায় কাজে ফেরা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাতে তাঁদের শরীরের উপরও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। দেউলিয়া হয়ে গেলেও কোনও সংস্থা এমন পন্থা নেয় না বলে মতামত জানিয়েছেন অনেকে। শুধুমাত্র মহিলা কর্মীদের জব্দ করতেই মাস্ক এমন পন্থা নিয়েছেন, এমন অভিযোগও উঠছে। মাস্কের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষের অভিযোগ উঠছে।
(Feed Source: abplive.com)