রোজভ্যালির ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক (অ্যাটাচমেন্ট) করল ইডি। তার মধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি–সহ বিভিন্ন স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছিল। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পরই সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। সুতরাং এখন আর এই সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। পরে এগুলি নিলাম করবে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত এই সংস্থার ১,১৭১ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি ক্রোক করল ইডি।
এদিকে রোজভ্যালির মালিক গৌতম কুণ্ডু নামে–বেনামে বহু সম্পত্তি করেছিলেন। বাংলা ছাড়াও দেশের অন্য অনেক রাজ্যেও সম্পত্তি কিনেছিলেন তিনি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সম্প্রতি ইডির অফিসাররা জানতে পারেন গোপনে ইতিমধ্যেই অনেক সম্পত্তির একটা বড় অংশই হাতবদল করা হয়েছে। তবে বাকি যা আছে সেগুলিও বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই রোজভ্যালির নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির খোঁজ শুরু হয়। আর কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। সেগুলিই ক্রোক করা হয়েছে।
বাকি সম্পত্তির মধ্যে কী রয়েছে? অন্যদিকে বাকি সম্পত্তির মধ্যে ছিল বাড়ি, অফিস, হোটেল এবং ফাঁকা জমি। ভিন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এই জমিগুলির বিষয়ে তথ্য পেতে রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়। চেয়ে পাঠানো হয় নথি। সেগুলি আসার পর ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, সম্পত্তির আগের মালিককে টাকা মেটানো হয়েছে রোজভ্যালির নানা অ্যাকাউন্ট থেকে। কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়িও রোজভ্যালির টাকায় কেনা।
আর কী জানা যাচ্ছে? রোজভ্যালির নামে খোলা একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দিয়েই সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে। আর আমানতকারীদের টাকাতেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করেছেন গৌতম কুণ্ডু। যদিও তিনি জেরায় এই সম্পত্তির বিষয়ে কিছুই জানাননি। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলি চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করতেই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। এই পরিমাণ সম্পত্তিই এবার ক্রোক করা হয়েছে। সুতরাং আর গৌতম কুণ্ডু গোপনে নজর এড়িয়ে সম্পত্তি বেচে দিতে পারবেন না। যদিও এর বাইরেও কিছু সম্পত্তি থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
(Feed Source: hindustantimes.com)