কুর্নিশ নৈনিতালের পিঙ্ক লেডিকে, আশার আলো পাচ্ছেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলারা!

কুর্নিশ নৈনিতালের পিঙ্ক লেডিকে, আশার আলো পাচ্ছেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলারা!

নৈনিতাল: কাজের ব্যস্ততা আর প্রতিনিয়ত ছুটে চলা, এটাই এখন আমাদের লাইফস্টাইল হয়ে উঠেছে। চূড়ান্ত ব্যস্ততার কারণে কারওর দিকে নজর দেওয়া তো দূর! নিজের দিকেও খেয়াল রাখার সময় হয় না! তবে আজ এমন এক বিশেষ ব্যক্তিত্বের গল্প শুনে নেওয়া যাক, যিনি অন্যের জীবন বাঁচানোটাকেই নিজের জীবনের মূলমন্ত্র করে তুলেছেন!

কথা হচ্ছে, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের বাসিন্দা আশা শর্মার। তিনি অবশ্য ‘পিঙ্ক লেডি’ নামেও পরিচিত। ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে গোলাপি মিশন বা গোলাপি প্রচারাভিযান নিয়েছেন তিনি। আসলে আশা ফাউন্ডেশন চালান আশা। তাঁর ওই প্রতিষ্ঠানে শুধু ক্যানসারই নয়, মেয়েদের শিক্ষা, মাদকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কাজ হয়। ২০১৯ সালে ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যেই গোলাপি প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন। এর অধীনে মূলত স্তন ও সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের বিষয়ে গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের সচেতন করা হয়। আর এই মহৎ কাজের জন্য ইতিমধ্যেই সুষমা স্বরাজ নারী শক্তি সম্মান, হিমালয় নারী শক্তি সম্মানের মতো বহু মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আশা।

ব্রেস্ট এবং সার্ভাইক্যাল ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা:

আশা শর্মা বলেছিলেন যে, এই প্রচারাভিযান শুরু করার পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। আর এই কারণটা ঘটেছিল খোদ আশার সঙ্গেই। পিঙ্ক লেডি বলেন যে, অসুস্থতার কারণে তাঁকে ২০১১ সালে হিস্টেরেক্টোমি করাতে হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ২০১৪ সালে স্তনের অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল তাঁকে। এর প্রেক্ষিতে তিনি এখন অন্য নারীদের মধ্যেও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা গড়ে তুলছেন। সেই সঙ্গে আশা আরও যোগ করেন যে, নারীদের স্তন ও সার্ভাইক্যাল ক্যানসার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সচেতনতা তৈরি করা খুবই জরুরি। শহরাঞ্চলের মহিলারা তা-ও কোনও না কোনও মাধ্যমে সচেতন হয়ে উঠলেও গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছতে পারে না। যার কারণে গ্রামাঞ্চল থেকেই এই প্রচারাভিযানের কাজ শুরু করেন তিনি। এর আওতায় তিনি এখনও পর্যন্ত ১৬টিরও বেশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যানসার সম্পর্কে নারীদের সচেতন করেছেন। আর এই অভিযান আরও সম্প্রসারিত করা হবে।

আশাদেবীর কথায়, শুধু ভারত থেকেই নয়, অন্যান্য দেশ থেকেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এই রোগ সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন করার জন্য। এর পাশাপাশি ওই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর একটি প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে। যার নাম প্যালিয়েটিভ কেয়ার। এর আওতায় অ্যাডভান্সড স্টেজের ক্যানসার রোগীদেরও সহযোগিতা করা হয়। শুধু তা-ই নয়, তাদের কাছে আসা ক্যানসার রোগীদের সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যও করা হয়।

(Feed Source: news18.com)