‘মিস্টার ফুচকাওয়ালা’! বিক্রি করছেন ফুচকা! তেঁতুল জলে যিনি মেশান ‘স্বপ্ন’

‘মিস্টার ফুচকাওয়ালা’! বিক্রি করছেন ফুচকা! তেঁতুল জলে যিনি মেশান ‘স্বপ্ন’

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে একজন ফুচকা বিক্রেতা আছেন যিনি ক্যারাটাতে ব্রাউন বেল্ট। অংশগ্রহণ করেছেন দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডেও। আবার রাজ্যপালের কাছে মেডেল পেয়েছেন। পেশায় তিনি ফুচকাওয়ালা। স্বপ্ন ছিল আর্মি অফিসার হওয়ার। তবে পরিবারের হাল ধরতে সে এখন ‘মিস্টার ফুচকাওয়ালা’।

বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা রাজদীপ দে যাকে ‘মিস্টার ফুচকাওয়ালা’ নামেই চেনেন সারা বেলিয়াতোড়বাসী। ডাকাবুকো এই এনসিসি ক্যাডার ২০১৮ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর সংসারের হাল ধরতে আর্মি হওয়ার স্বপ্ন বাক্সবন্দি করে নিজেকে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন একজন ফুচকা বিক্রেতায়।

বহু না বলা গল্প লুকিয়ে আছে বাঁকুড়া জেলার আনাচে কানাচে। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের, ‘মিস্টার ফুচকাওয়ালার’ এই গল্প কিছুটা বেদনার, বাস্তবতার এবং অনুপ্রেরণার। রাজদীপের এক বন্ধুর কোভিড এর লকডাউন চলে যায় চাকরি। বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজদীপ বেছে নেন ফুচকার ব্যবসা।

বর্তমানে ‘মিস্টার ফুচকাওয়ালা’ হরেক রকম ফুচকা যেমন জল ফুচকা, চিকেন ফুচকা, চকলেট ফুচকা, আইসক্রিম ফ্লেবার ফুচকা ইত্যাদির সম্ভার নিয়ে সন্ধ্যা হলেই পসার সাজিয়ে বসেন। আর এই মিস্টার ফুচকাওয়ালার অভিনব ফুচকা খাওয়ার জন্য ভিড় জমান আপামর জনগণ। স্বাদে অতুলনীয় এবং দামে যথাযথ এই ফুচকা এখন বাঁকুড়ার হট ফেভারিট।

আর্মির ইউনিফর্মটা হয়ত পরা হল না রাজদীপের কিন্তু স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় থেমে থাকেননি রাজদীপ। থেমে থাকেনি নতুন স্বপ্ন দেখা। বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা রাজদীপের মিস্টার ফুচকাওয়ালা হওয়ার এই যাত্রাপথ প্রমাণ করে যে কোন এক না পাওয়ার পিছনে লুকিয়ে থাকে অন্য পথ, অন্য একটি দিশা। তাই হতাশ হয়ে নয়, না থেমে সবসময় বুক উচিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই হয়ত পাওয়া যাবে সাফল্য।

(Feed Source: news18.com)