সরকারের ‘পাঁচ’ স্কলারশিপ পূরণ করবে পড়ুয়াদের স্বপ্ন

সরকারের ‘পাঁচ’ স্কলারশিপ পূরণ করবে পড়ুয়াদের স্বপ্ন

এই মাসেই প্রকাশ হবে মাধ‍্যমিক এবং উচ্চমাধ‍্যমিকের ফলাফল। তারপরেই পড়ুয়ারা নিজেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা শুরু করবে। এখন পড়াশোনার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তাই, সবার পরিবারের এত খরচ করে পড়ানোর ক্ষমতা থাকে না। সেই সব মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন‍্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। এই স্কলারশিপের টাকা দিয়ে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

কোভিড-১৯ পরর্বতী সময় আর্থিক অসুবিধার কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। সেই কারণে চলতি বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের দেওয়ার ব‍্যবস্থা আরও দৃঢ় করা হয়েছে। কিন্তু বহু পড়ুয়ার এ বিষয়ে সঠিক ধরণা নেই। তাই এই ধরনের স্কলারশিপের সুধিবা তারা পায় না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য সরকারের প্রচলিত কী কী স্কলারশিপ আছে।

উত্তরকন্যা স্কলারশিপ/ নবান্ন স্কলারশিপ

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতিবছর অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন‍্য স্কলারশিপ দেওয়া হয়। আগে নাম ছিল চিফ মিনিস্টার রিলিফ ফান্ড, বর্তমানে তা উত্তরবঙ্গের উত্তরকন্যা স্কলারশিপ এবং দক্ষিণবঙ্গে নবান্ন স্কলারশিপ নামে পরিচিত।

যোগত‍্যাঃ উচ্চমাধ্যমিক বা H.S পরীক্ষায় ৫৫% থেকে ৬৫% নম্বর প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।সারা বছরই প্রায় আবেদন করা যাবে এই স্কলারশিপের জন্য।

স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ

রাজ্য সরকারের আর একটি বিশেষ স্কলারশিপ হল স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের জন্য বিকাশ ভবনে গিয়ে আবেদন করতে হয়।

যোগত‍্যাঃ এই স্কলারশিপের আবেদন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের স্কুল ও কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে। মাধ্যমিকে ৭৫% ও উচ্চমাধ্যমিকে ৭৫% নম্বর প্রাপ্তরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে অনার্সের বিষয়ে ৫৫% নম্বর পেতে হবে। উল্লেখ‍্য, শিক্ষার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ৬০ হাজারের কম হতে হবে।

ওয়েসিস

তপশিলি জাতি বা উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপ চালু করা হয়। বিদ্যালয় প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে অর্থাৎ মাধ্যমিকের আগে থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা পর্যন্ত এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।এছাড়াও অন্যান্য টেকনিশিয়ান লাইনে যে সমস্ত শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকেও এই স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া হয়।

যোগত‍্যাঃ পড়ুয়াকে ন‍্যূনতম নবম বা দশম শ্রেণির ছাত্র বা ছাত্রী হতে হবে। বার্ষিক পরিবার / অভিভাবক আয়ের পরিমাণ ২ লক্ষের বেশি হওয়া যাবে না।

জগদীশ বসু ন্যাশনাল ট্যালেন্ট সার্চ স্কলারশিপ

এই স্কলারশিপটি শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন‍্য। জগদীশ বসু ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ ক্লাব হল রাজ্য সরকারের একটি সংস্থা। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে এই সংস্থার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষার আযোজন করা হয়।

যোগ‍্যতাঃ এই পরীক্ষা শুধুমাত্র মাধ্যমিকে ৭৫% পাওয়া, উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং গ্রেজুয়েশনের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিতে পারে।পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবে এই স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়া যাবে।

মেরিট কাম মিনস

সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপটি চালু করা হয়েছে। মাধ্যমিকের আগে থেকে শুরু করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা পর্যন্ত প্রত্যেক সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে।

যোগত‍্যাঃ শিক্ষার্থীকে যে কোনও সংখ‍্যালঘু সম্প্রদায়ের হতে হবে। ছাত্র বা ছাত্রীর বার্ষিক পরিবার / অভিভাবক আয়ের পরিমাণ ২.৫ লক্ষের বেশি হওয়া যাবে না।

(Feed Source: news18.com)