ডাইনি অপবাদ দিয়ে শরীর থেকে মাথা কেটেছিল এই যুবক, ৭ বছর পর আদালত সাজা শোনাল

ডাইনি অপবাদ দিয়ে শরীর থেকে মাথা কেটেছিল এই যুবক, ৭ বছর পর আদালত সাজা শোনাল

ঝাড়গ্রাম: ডাইনি অপবাদে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংস খুনের ঘটনায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল। দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সেই হাড়হিম ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাঁকরাইল থানার নোয়াগা গ্রামের রাধাকান্ত বেরাকে বুধবার ঝাড়গ্রাম সেশন দায়রা আদালতের ফাস্ট কোর্ট মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। আর ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কবিতা বেরা, নন্দ বেরা, মিহির বেরাকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে। জানিয়েছেন, সিনিয়র দায়রা সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিনহা।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সাঁকাইল থানার নোয়াগা গ্রামে বৃদ্ধ মহিলাকে ডাইনি বলে অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনার দিন তাঁর নিজের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় গ্রামের যুবক রাধাকান্ত বেরা। ওই বৃদ্ধাকে গ্রামের শিব মন্দিরের সামনে নিয়ে গিয়ে ধরালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এবং তারপর সেই মাথা এক হাতে নিয়ে এবং অপর হাতে অস্ত্র নিয়ে সে প্রথমে বাড়ির দিকে দৌড়ে পালায়। পরে সেখান থেকে গ্রাম ছেড়ে পালায়।

পরে পুলিশ সেই কাটা মুণ্ড-সহ রাধাকান্তকে একটি জঙ্গল থেকে গ্রেফতার করে ঘটনার দিনই। সেই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।ঘটানার দিন রাতেই নিহতের মেয়ে রাধাকান্ত ও তাঁর বাবা মিহির বেরার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাধাকান্ত গ্রেফতার হওয়ার পর খুনের ঘটনায় সাহায্য করার অভিযোগে দফায় দফায় কবিতা বেরা, মিহির বেরা, নন্দ বেরাকে গ্রেফতার করে।

২৬.০৪.২০১৭ সালে পুলিশ চার্জচিট জমা করে আদালতে। উল্লেখ্য রাধাকান্ত বেরা ছাড়া বাকিরা কয়েক বছর জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত জেলেই রয়েছে। মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা হয়। বাকিরা প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হয়।

(Feed Source: news18.com)