চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! আমফান-ইয়াস-ফণীর দগদগে স্মৃতি! ফের চরম আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী

চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! আমফান-ইয়াস-ফণীর দগদগে স্মৃতি! ফের চরম আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী

গোসাবা: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের এই সতর্কবার্তাতেই কার্যত ঘুম ছুটেছে সুন্দরবনবাসীর। সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধের বেহাল দশা। সামান্য পূর্ণিমা বা অমাবস্যার কোটালেই বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙছে, বাঁধে ধস নামছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন ঘূর্ণিঝড় মোচার প্রভাব সুন্দরবনের উপর পড়লে ফের বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় মানুষজন। যদিও প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

গত বছর সেভাবে কোনও বড় ঘূর্ণিঝড় না হলেও এবার ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনের বুকে শেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। গোসাবা ব্লকের একাধিক দ্বীপে নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। চাষের জমি, পুকুর, বাড়ি ঘর সবেতেই নদীর নোনা জল ঢুকে পড়েছিল। এর ঠিক একবছর আগে আমফানেও সুন্দরবনের গোসাবা, বাসন্তী-সহ একাধিক ব্লকে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা।

এর আগে আয়লা, বুলবুলের প্রভাবেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গোটা সুন্দরবন এলাকা জুড়ে। এলাকাবাসী বারে বারে শক্তপোক্ত কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরির দাবি জানিয়েছেন কিন্তু গোটা সুন্দরবন জুড়ে সেই বাঁধ এখনও তৈরি হয়নি।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় নামলে বিস্তীর্ণ এলাকা একদিকে যেমন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে, তেমনি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরও একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনবাসী। ফলে তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাই আরও একবার সুন্দরবনে স্থায়ী নদীবাঁধ তৈরির আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আয়লায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় তৎকালীন বাম সরকার কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করে ৫০৩২ কোটি টাকা এনেছিল কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য। বাঁধের কাজ শুরু হলেও ২০১১ সালে বাম সরকারের পতনের পর সেভাবে আর কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজের অগ্রগতি হয়নি ফলে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকার মতো ফেরৎ চলে যায় কেন্দ্রে।

(Feed Source: news18.com)