ছোট থেকে বড় – প্রায় সকলেই কমবেশি দাঁতের সমস্যায় ভুগে থাকেন। বলা ভাল, যে কোনও বয়সের মানুষই দাঁতের ব্যথায় কাবু হয়ে যেতে পারে। আর কম বয়স থেকেই দাঁতের ক্ষয়জনিত সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এর অবশ্য নানাবিধ কারণও রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। এই বিষয়ে আজ আলোচনা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানাচ্ছেন যে, দাঁতে ব্যাকটেরিয়া জমতে জমতে প্লাক তৈরি হয়। আসলে মজবুত দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট থাকে এনামেলের মধ্যে। আর ব্যাকটেরিয়া জমে প্লাক হওয়ার ফলে দাঁতের এনামেল থেকে মিনারেল বেরিয়ে যায়। আর এনামেল ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে তাতে গহ্বর তৈরি হয়।
মূলত ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণেই দাঁতের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে থাকে। মুখগহ্বর শুকিয়ে আসা, দাঁতে লেগে থাকা খাবার, চকোলেট, আইসক্রিম ও কোল্ড ড্রিঙ্কের মতো অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়ার জেরে বাড়ে সমস্যা। তবে দিনে দুই বার মতো ব্রাশ করলে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। এখানেই শেষ নয়, খাবার খাওয়ার পরে সুগার ফ্রি গাম চিবিয়ে খেলেও সমস্যা এড়ানো যায়। চিকিৎসকরা বলেন যে, মুখের লালা হ্যাং ফ্লেক্সের পিএইচ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আঠা এনামেলের হারিয়ে যাওয়া খনিজ পুনরুদ্ধার করে।
আসলে ভিটামিন ডি শরীরকে খাদ্য থেকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট শোষণ করতে সাহায্য করে। দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার আসলে ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ। সেই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ, দিনে অন্তত ১৫ মিনিট করে সূর্যের আলো গায়ে লাগালে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর জোগান পাওয়া যায়। দিনে অন্তত দুই বার ব্রাশ করলে এবং সারা দিন চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে এই সমস্যা দূর করা যায়। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, নারকেল তেল এবং তিলের তেল নিয়ে ২০ মিনিট মতো টানলে ফ্লেক জিনজিভাইটিস ব্যাকটেরিয়া কমে যাবে।