সূচনা হল রামকৃষ্ণ মঠের নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের, থাকবে বিপুল তথ্যভাণ্ডার

সূচনা হল রামকৃষ্ণ মঠের নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের, থাকবে বিপুল তথ্যভাণ্ডার

কলকাতা: ৫ মে বুদ্ধ পূর্ণিমার পূন্য তিথিতে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন তাদের প্রকাশিত বই ও সাময়িক পত্রগুলোকে http://publications.rkmm.org নামে একটি ডিজিটাল প্লাটফর্মের উদ্বোধন করল। এই প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের তিন শতাধিক শাখা কেন্দ্র থেকে গত ১২৫ বছর ধরে প্রকাশিত সমস্ত বই, সাময়িক পত্র  ও  স্মরণিকা।

শুধু ইংরেজি বা হিন্দিতেই নয়, ভারতের সমস্ত আঞ্চলিক ভাষা এবং বিদেশের কয়েকটি ভাষাতেও যে বইগুলি প্রকাশিত হয়েছে বা পরে হবে, সেগুলিও এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা রামকৃষ্ণ ভাবধারার এই বিপুল ভান্ডার ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। “সার্চেবল অপশনের”  মাধ্যমে তাঁরা এই প্ল্যাটফর্ম থেকে “ফ্যাক্ট চেক” করতে পারবেন, প্রশ্নোত্তর বা FAQ (frequently asked question) এর সুযোগ নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে পছন্দমতো রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ- সারদাদেবীর উদ্ধৃতিগুলি জানতে পারবেন।

রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ জানালেন, “শ্রীরামকৃষ্ণ -বিবেকানন্দের আকর্ষণ ও জনপ্রিয়তা আজ যেমন বেড়েছে, তেমনি তাঁদের ঘিরে অনেক ভুল ও বিকৃত তথ্যও আজকাল অনেকে জ্ঞাতসারে-অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন  মাধ্যমে পরিবেশন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেগুলি অতি দ্রুত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আজকাল তাই আসল খবর আর মিথ্যা খবরের মধ্যে পার্থক্য করা একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্য এবং রামকৃষ্ণ-ভাব- আন্দোলন সম্পর্কিত সমস্ত প্রামাণিক তথ্য  প্রতিটি মানুষের আঙুলের ডগায় চলে আসবে। তার ফলে ‘ফেক নিউজ’ সরবরাহকারীরা যেমন সংযত হবেন বলে আশা করা যায়।  তেমনি সাধারণ মানুষের কাছেও যদি  কোন তথ্য সন্দেহজনক বলে মনে হয়, সঙ্গে সঙ্গে  তারা এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সেটি যাচাই করে নিতে পারবেন।”

সন্ন্যাসীদের যে দলটি এই কাজটি করেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন স্বামী বলভদ্রানন্দ, স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ ,স্বামী পরমশিবানন্দ,স্বামী দক্ষজানন্দ ও স্বামী সুকল্যাণানন্দ। তাঁরা জানালেন, “এই প্লাটফর্মটি ক্রমাগত আপডেটেড হয়ে চলবে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর সঙ্গে যুক্ত হবে একটি লিঙ্ক, যেটিতে স্বামীজীর সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরা পায়ে পায়ে পৌঁছে যেতে পারবেন ভারত ও বিদেশের  সেই স্থানগুলিতে যেসব জায়গা গুলিতে স্বামীজি পরিব্রাজক জীবন থেকে শুরু করে জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন কার্য উপলক্ষে পদার্পণ করেছেন।”

(Feed Source: news18.com)