বিনা বিনিয়োগেই Amazon-এ পার্ট টাইম আয় করুন! রইল দু’টি সহজ উপায়

বিনা বিনিয়োগেই Amazon-এ পার্ট টাইম আয় করুন! রইল দু’টি সহজ উপায়

ইউটিউব, রিলস-এ এখন প্রায়শই টাকা করার নানা সহজ উপায়ের কথা বলা হয়। আমাদের আশেপাশেই নানা সুযোগ রয়েছে। শুধু অভাব কিছুটা সচেতনতার। আমাজনের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলি এখন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেখান থেকেও যে চাইলে কিছু বাড়তি আয় করা যায় তা কি জানতেন?

আমাজনে কম প্রশিক্ষণের কাজের তালিকায় প্রথমেই আসে ডেলিভারির দায়িত্ব। কিন্তু ভয় পাবেন না। সাধারণ ডেলিভারি পার্সনের মতো আপনার সারাদিন এই কাজ না করলেও চলবে। আপনার এলাকারই ২-৪ কিলোমিটারের মধ্যেই আপনি চাইলে ব্যবসা ফাঁদতে পারেন। আমাজনের ‘I Have Space’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারি করতে পারেন।

এবার ধরুন কেউ কলেজ পড়ুয়া। উঠতি বয়স। তাছাড়া পড়াশোনার খরচও বাড়ছে। এমন সময়ে চাইলেই কিন্তু আমাজনের সঙ্গে পার্টটাইম কাজ করা যায়। আমাজনের ‘Flex’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি নিজের সময় মতো, সুবিধা মতো পার্ট টাইম ডেলিভারির কাজ করতে পারেন। একটি সাইকেল বা মোটরবাইক হলেই যথেষ্ট।

এই বিষয়ে আমাজনের এর মুখপাত্র জানালেন, মৌলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে কলকাতায় তাঁদের এক পার্টনার রয়েছেন। তাঁর একটি টি স্টল রয়েছে। তবে তার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের জন্য তিনি এই ‘আই হ্যাভ স্পেস’ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। ২০২২ সাল থেকেই তিনি এই অতিরিক্ত আয়ের জন্য কাজ করা শুরু করেন। তিনি জানিয়েছেন, পার্টটাইম হলেও বিমা, সময়ে সময়ে পেমেন্টের বিষয়ে নজর রাখা হয়। এর ফলে কিছু বাড়তি টাকা আসে সংসারে।

কীভাবে শুরু করবেন?

কোনও দালাল চক্রের খপ্পরে পড়বেন না। সরাসরি আমাজনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই যোগ দেওয়া যেতে পারে।

I Have Space(IHS) প্রোগ্রামের জন্য আপনার নিজের একটি দোকান থাকতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার দোকান/বাড়ির ঠিকানায় এসেই আমাজনের প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করবে। এরপর আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড চেকিং হবে। একটি সহজ ট্রেনিংও হবে। এরপরেই আপনি এতে অংশ নিতে পারবেন।

এরপর আপনারই দোকানে আমাজনের প্যাকেজ এসে যাবে। সেগুলি রাখার জন্য কিন্তু আপনার পর্যাপ্ত জায়গার প্রয়োজন হবে। ছোটখাটো একটি ঘর হলে সবচেয়ে ভাল। এরপর আপনি সেগুলি গ্রাহককে ডেলিভারি করবেন। যে কটি প্যাকেজ ডেলিভারি করলেন, তার ভিত্তিতে আপনাকে আমাজন টাকা দেবে। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে, জানিয়েছে আমাজন।

কলেজ পড়ুয়া/বাড়তি আয়ের উপায়

‘Flex’ প্রোগ্রাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়। অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীরাই দ্রুত কিছু টাকার জন্য এই প্রোগ্রামে যোগ দেন। মোটরসাইকেল-স্কুটার থাকলেই নেমে পড়া যায়। নিউ টাউনের এক যুবক ইভান জানালেন, ‘আমার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামে। সেখান থেকে কলকাতায় একটা প্রিন্টিং প্রেসের কাজ নিয়ে এসেছিলাম। এরপর বাড়তি আয়ের জন্য বাইক ট্যাক্সি চালাতাম। পরে অনলাইনে ফ্লেক্স প্রোগ্রামের বিষয়ে জানলাম ও জয়েন করলাম।’

অর্থাত্, আপনার ফুল-টাইম অফিস, বাড়ির কাজ, পড়াশোনার সময়ের পর, আপনার যখন সুবিধা হবে, তখনই বাইক/সাইকেল নিয়ে ডেলিভারি করতে বেরিয়ে যেতে পারবেন।

মহিলারাও আজকাল সকলে স্বাবলম্বী হতে চান। অল্প বয়স থেকেই, পড়াশোনার পাশাপাশি কোনও কাজ খোঁজেন। সেক্ষেত্রেও এই ফ্লেক্স বা আই হ্যাভ স্পেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করা যাবে। আমাজন জানিয়েছে, আমরা নিয়মিত ডেলিভারি পার্টনাররা কোথায় আছেন, কেমন আছেন তার খোঁজ নিই। তাঁরা নিরাপত্তা বিধি মেনে চলছেন কিনা তা লক্ষ্য রাখা হয়। তাছাড়া এমনভাবে রুট ও প্যাকেজ সাজানো হয়, যাতে ডেলিভারি পার্টনারদের খুব বেশি ঘুরপাক বা ঝামেলার মধ্যে না পড়তে হয়।

ছবি: আমাজন

(Amazon)

কেমন আয় হতে পারে?

আমাজন.ইন-এ দেওয়া তথ্যানুসারে, বেশিরভাগ ফ্লেক্স ডেলিভারি পার্টনারই ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪০ টাকার আশেপাশে আয় করেন। তবে এটি নির্ভর করবে আপনার এলাকা, ডেলিভারি সম্পূর্ণ করতে কতটা সময় লাগছে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। অর্থাত্, দিনে ২ ঘণ্টার কাজে ২৪০-২৮০ টাকা করে আয় করা যেতে পারে। পার্ট-টাইম কাজ হিসাবে যা নেহাত্ মন্দ নয়।

বড় ব্যবসাও করা যায়

আবার ধরুন আপনি আরও একটু বড় স্কেলে খেলতে চান। সেক্ষেত্রে ‘ডেলিভারি সার্ভিস পার্টনার’ নামেও আমাজনের একটি কাজ রয়েছে। তাতে আপনার দায়িত্ব হবে আমাজনের শেষ মাইলের ডেলিভারি করানো। আমাজন থেকে প্রযুক্তি, পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এর জন্য খুব বেশি ব্যবসায়িক জ্ঞান বা প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজনই নেই। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতায় ৬০ বছর বয়সে দুর্দান্ত ডেলিভারি সার্ভিস পার্টনারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুবলচন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক ‘তরুণ’। তাঁর অবশ্য আগে এই ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যবসায় অভিজ্ঞতা ছিলই। সেটা কাজে লাগিয়ে ২০১৬ সালে আমাজনের জন্যও কাজ শুরু করেন। সেই সময়ে কলকাতায় মাত্র একটি ডেলিভারি স্টেশন চালাতেন তিনি। আর আজ প্রায় ৫ বছর পর, তাঁর অধীনেই দেশের ২৫টি শহরজুড়ে প্রায় ২৭টি ডেলিভারি স্টেশন রয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)