এই গাছ লাগানো জীবন বীমা করার সমান! লক্ষাধিক টাকা আয় হবে ভবিষ‍্যতে

এই গাছ লাগানো জীবন বীমা করার সমান! লক্ষাধিক টাকা আয় হবে ভবিষ‍্যতে

কাটোয়া: সেগুন গাছের চারা রোপণ করে, বছর কয়েকের অপেক্ষায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের উপায় বলছেন কাটোয়ার এক ব্যক্তি। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মী চাকুরী জীবনের শেষের দিক থেকেই মাতেন গাছের নেশায়। সেইমতো চাকরির পাশাপাশি শুরু করেন গাছ লাগানো। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের হাজরাপুর কলোনির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত গোপাল চন্দ্র মন্ডল বিস্তীর্ণ জায়গার ওপর রোপন করেন ১১০ টি সেগুন গাছ । প্রায় ১৮ কাটা জায়গায় সেগুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি শুরু করেন বিভিন্ন প্রকার ফল ও সবজির চাষ

গোপাল বাবুর কথায়, ‘‘চাকুরি থাকাকালীনই আমি এই কাজ শুরু করি এবং পরবর্তীতে অবসর জীবন আমার দারুন কাটছে।’’ এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মানুষ যেরকম ইনসিওরেন্স করে এককালীন অনেক টাকা পায়, অল্প কিস্তির বিনিময়ে, ঠিক সেরকমই এই গাছগুলি থেকেও এককালীন লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যাবে, এককালীন কিছু টাকা বিনিয়োগ করলে।

বর্তমানে গাছকে কেন্দ্র করেই কাটছে গোপাল বাবুর জীবন। তিনি তার এই গাছ লাগানোর শখকে নিজের মানসিক জোরের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিজের এহেন কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সেগুন গাছ আমি লাগিয়েছি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ২০২৩ সাল ইতিমধ্যেই আমার কিছু কিছু গাছ ম্যাচিওর হয়ে গেছে। চারা নিয়েছিলাম নাগার্জুন কোম্পানি থেকে। বলা হয়েছিল ১২ থেকে ১৫ বছরে আপনার গাছ ম্যাচিওর হবে। এবং তৎকালীন সময় আমি চিন্তাভাবনা করেছিলাম চাষ-পাশে প্রায়শই ক্ষতি হয় কিন্তু শাল সেগুন, যেগুলিকে আমাদের রাজ্যে কাঠের রাজা হিসেবে ধরা হয়। এখানে শাল ভালো হয় না, সেগুনটা ভালো হয়। তাই আমি সেগুনটা লাগালাম।’’

একবার ইনভেস্ট করতে পারলে আর চিন্তা নেই অনেকগুলো টাকা পাবো। ইতিমধ্যেই আমার যে গাছগুলি ম্যাচিওর হয়ে গেছে সেগুলি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাম দিচ্ছে। আমার এখানে রয়েছে ১১০টি গাছ যেখান থেকে গড়ে আমি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাবো।তিনি বাকিদেরও তাই এই কাজ শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। আর এভাবেই পিতৃস্নেহে গাছকে বুকে জড়িয়ে দিন কাটছে কাটোয়ার গাছপ্রেমী গোপাল বাবু।

(Feed Source: news18.com)