তিহাড়ে অবশেষে দেখা, বাবাকে সুকন্যার একটাই প্রশ্ন! রুবাইকে দেখেই কান্না অনুব্রতর

তিহাড়ে অবশেষে দেখা, বাবাকে সুকন্যার একটাই প্রশ্ন! রুবাইকে দেখেই কান্না অনুব্রতর

নয়াদিল্লি: গ্রেফতারের পর একই জেলে থাকলেও, সেল নম্বর আলাদা হওয়ায় দেখা হচ্ছিল না অনুব্রত মণ্ডল ও মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। অবশেষে শনিবার তিহাড় জেলে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হল মেয়ে সুকন্যার। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন বীরভূমের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয় দু’জনের। বাবাকে দেখেই ওষুধ ঠিক মতো খাচ্ছেন কি না জানতে চায় মেয়ে।

দীর্ঘদিন পর পরস্পরকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে। মেয়েকে দেখেই অনুব্রত প্রশ্ন করেন, ‘কেন হাজিরা দিতে এলি রুবাই’। ইডি হেফাজত শেষে মেয়ে সুকন্যা দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি হতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন অনুব্রত। আদালতে আবেদনও করেন তিনি। কিন্তু আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে বলা হয়।

পরে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন অনুব্রত। সেই আবেদন মঞ্জুর করে তিহাড় কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিকেলে জেলের নিয়ম মেনে কথা হয় ২ জনের। এতদিন পর মেয়েকে দেখে চোখের জল আটকাতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল। মেয়েও কেঁদে ফেলেন। বাবাকে প্রশ্ন করেন, ‘ওষুধ খাচ্ছ তো?’ কোনও রকমে সামলে নিয়ে অনুব্রত মেয়েকে প্রশ্ন করেন, ‘কেন ইডির দফতরে হাজিরা দিতে এলি রুবাই?’

সময় মেনে কথাতেও আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে জেনে নেন সুকন্যা। বুঝিয়ে কথা বলেন অনুব্রত, সাহস দেন। এদিন বাবা ও মেয়ের সাক্ষাতের সময় পরিবেশ ছিল অত্যন্ত গুরুগম্ভীর। ঘরে কারারক্ষীরা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। চলতি সপ্তাহেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। গরু পাচারের টাকা ব্যবহার করেছে অনুব্রত-সহ গোটা পরিবার, এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

(Feed Source: news18.com)