নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চিন, পাক বিদেশমন্ত্রী

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চিন, পাক বিদেশমন্ত্রী

ইসলামাবাদ: রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে শনিবার ইসলামাবাদে বৈঠকে বসলেন চিন আর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মূল কারণ আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদের দিকে বেইজিং-এর কড়া নজর। পাশাপাশি আর এক প্রতিবেশী পাকিস্তানের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে তালিবান শাসিত দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাতে কোনওভবেই তাদের বাড়তি অসুবিধায় না ফেলে।

চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন গ্যাং ও তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল জারদারি ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠকে  বসেন। আফগান মহিলাদের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়ে চলায় তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে রাষ্ট্রসংঘ।

তালিবানের সঙ্গে আলোচনার জন্যেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বেজিং-এর এই আগ্রহকে অবশ্য যথেষ্ট সন্দেহের চোথেই দেখছেন রাষ্ট্রসংঘের অন্যান্য সদস্যরা। মুখে অবশ্য চিন বারবার জানিয়েছে. তাঁদের এই অবস্থান প্রতিবেশী দেশকে দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াই করতে উৎসাহ যোগাবে ও সহযোগিতা করবে। যা নিয়ে বারবার আপত্তি তুলেছে ভারত সহ পশ্চিমী দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ।

ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও, চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কৌশলগত আলোচনায় অংশ নেওয়া ছাড়াও বানিজ্যিক বিষয় নিয়ে কথাবার্তা সেরেছেন আফগান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে। চিনের বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে “সব সময়ের কৌশলগত অংশীদার ও দৃঢ় বন্ধু” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

চিন ও পাকিস্তানের এহেন আচরণ অবশ্য যথেষ্ট জল্পমা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। দিন কয়ের আগে গোয়ায় এসসিও পর্যায়ের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের অবস্থানে অন্তত প্রকাশ্যে আপত্তি জানায়নি। সম্প্রতি চিন বিদেশমন্ত্রক তাঁদের ১১ দফা আফগান বিষয়ক অবস্থান-পত্রে উল্লেখ করে  “দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পূর্বশর্তই হচ্ছে সেদেশের নিরাপত্তা।”

(Feed Source: news18.com)