হুগলি: গৃহ শিক্ষিকার কাছে পড়তে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। গৃহ শিক্ষিকার বাবা লজেন্সের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করে ওই নাবালিকার উপরে, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে মগরার পলাশপুর এলাকায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত নান্টু ধর ওই অঞ্চলের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা যায়।
তবে এখানেই পুরো ঘটনার শেষ নয়! নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত নান্টু ধরকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তার ভাই পিন্টু নির্যাতার পরিবারকে হুমকি দেয়। এরপরেই সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযুক্ত নান্টুর ভাই পিন্টুকে গ্রেফতারের দাবিতে আসাম লিঙ্ক রোড অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। এমনকি অভিযুক্তের বাড়ির সামনে উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মগরা থানার পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছে পিন্টুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার উপরে জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মারধর করতে থাকে।
অভিযুক্ত নান্টু ধরের মেয়ে অর্থাৎ গৃহ শিক্ষিকা অন্তরা ধর বলেন, তার কাছে গত তিন বছর ধরে প্রাইভেট পড়তো নাবালিকা। ঘটনার দিন সে পড়তে গিয়েছিল। বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ থাকায় অন্তরা ও তার মা বাড়ি থেকে চলে যায়। বাবাকে বলে গিয়েছিল পড়া শেষ হয়ে গেলে ছুটি দিয়ে দিতে। নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, পড়া থেকে বাড়ি ফিরে একেবারে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে ঠাকুমার কাছে সমস্ত ঘটনার খোলাসা করলে পুরো ঘটনা সম্বন্ধে অবগত হন তাদের পরিবার। ঘটনা জানা মাত্রই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নান্টু ধরের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলার রুজু করা হয়েছে।
(Feed Source: news18.com)