ভারত উপমহাদেশের ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল

ভারত উপমহাদেশের ভারত, বাংলাদেশ ও নেপাল
ছবির সূত্র: FILE

ভারত-নেপাল-বাংলাদেশ: ভারত ভারতীয় উপমহাদেশের অবিসংবাদিত একমাত্র বস। বাংলাদেশ বা নেপালের মতো দেশগুলোর ওপর চীন যতই স্ট্রিং লাগুক না কেন। ভারত ব্যতীত এই সমগ্র মহাদেশে কারো কাজই সম্ভব নয়। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, ভারতের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের জন্য আবারো ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে নেপাল ও বাংলাদেশ। ভারতের অনুমতি পেলে শুধু নেপাল ও বাংলাদেশ ভারতের এই ট্রান্সমিশন লাইনের সুবিধা পেতে পারবে। বর্তমান ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায় নেপাল। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

নেপাল এবং বাংলাদেশ কীভাবে তারা ভারতকে ভারতের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করতে রাজি করাতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত যদি তা করার অনুমতি দেয়, তাহলে নেপাল তার উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে পারবে। নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রস্তাবিত বৈঠকের তথ্য দিয়েছেন। আগামী ১৫ ও ১৫ মে বাংলাদেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

নেপাল ও বাংলাদেশের সমস্যা কী?

নেপালের কর্মকর্তা বলছেন, কীভাবে ভারতকে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয়ে রাজি করানো যায়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এ বিষয়টি থাকবে। নেপাল চায় ভারত তার ভূমিতে নেপাল থেকে বাংলাদেশে একটি বিশেষ ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের অনুমতি দিক। নেপাল ও বাংলাদেশ স্থলপথে একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে না। তাই ভারতের সহযোগিতা পেলেই নেপাল বাংলাদেশের কাছে তার বিদ্যুৎ বিক্রি করবে।

ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থান থেকে নেপাল আশাবাদী। নেপালের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে ভারত ‘ওয়ান সান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান গ্রিড’ নামে একটি আন্তর্জাতিক গ্রিড তৈরির প্রস্তাব করেছে। এতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। নেপাল ও বাংলাদেশ এর সুফল পেতে পারে। ‘ওয়ান সান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান গ্রিড’ উদ্যোগটি 2018 সালে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রস্তাব করেছিলেন।

(Feed Source: indiatv.in)