শুভেন্দুর সভা-মিছিলে পুলিশের ‘না’ খারিজ, হাইকোর্টের ছাড়পত্রে গেরুয়া শিবিরের মিষ্টি বিতরণ

শুভেন্দুর সভা-মিছিলে পুলিশের ‘না’ খারিজ, হাইকোর্টের ছাড়পত্রে গেরুয়া শিবিরের মিষ্টি বিতরণ

সৌভিক মজুমদার, মুন্না আগরওয়াল ও পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা : পুলিশের ‘না’ বদলে ‘হ্যাঁ’ আদালতের। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ও মিছিল ঘিরে জোড়া ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপালে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি ১৪ মে পটাশপুরে (Patashpur) শুভেন্দুর মিছিলেও সবুজ সঙ্কেত দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিলতেই গেরুয়া শিবিরে কার্যত উৎসবের মেজাজ। মুখে স্লোগান, হাতে লাড্ডুর প্যাকেট। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করালেন বিজেপি (BJP) নেতারা।

গ্রামবাংলার ভোটের আগে জনসংযোগে শান দিতে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল (Simlipal) বাজার লাগোয়া রাজবাড়ির মাঠে সভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। পুলিশের (Police) অনুমতি না মেলায় শেষপর্যন্ত ভেস্তে যায় সেই সভা। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় বিজেপি। ১৭ মে দুপুর ৩ থেকে সন্ধে ৭ পর্যন্ত বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজেপির কর্মসূচিতে অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। পাশাপাশি, ১৪ মে পটাশপুরে শুভেনদুর মিছিলেও অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা জানান, প্রয়োজন মনে করলে পটাশপুরে সিআরপিএফ ডাকতে পারবে রাজ্য সরকার।

এদিকে আদালতের রায়ের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেনদু অধিকারী, রাজ্য পুলিশকে ট্যাগ করে ট্যুইটারে লেখেন, আমি জানি, বিরোধী দলনেতার রাজনৈতিক সভা বানচাল করার জন্য লেডি কিম আপনাদের নির্দেশ দিয়েছেন ! বাঁকুড়ার সিমলাপাল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে কর্মসূচির অনুমতি না দিয়ে আপনারা নম্বর বাড়িয়েছেন ! শুধু তাই নয়, ২১ মে দার্জিলিংয়ের পূর্ব নির্ধারিত জনসভাতেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন আপনারা। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, কিছুদিন আগে ভাইপোকে যে ৭২ ঘণ্টা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হল, তখন কি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল ?

বিরোধীদের বারবার সভার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে, এ রাজ্য়ে বিতর্ক বহুদিনের। বারবার ওঠে আমরা-ওরার অভিযোগ। কিন্তু এর শেষ হয় না কেন ?

(Feed Source: abplive.com)