নয়াদিল্লি : দেশের আমজনতার কাছে সুখবর। এই নিয়ে টানা তৃতিয় মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা এনএসও-র পেশ করা তথ্য অনুযায়ী দেশে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার নেমে এসেছিল ৫.৬৬ শতাংশে। আর এপ্রিল মাসে তা নতুন নজির গড়ল। গত ১৮ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম ৪.৭ শতাংশে নেমে এল খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার। একইসঙ্গে দেশের বানিজ্যিক মহলকে স্বস্তি দিচ্ছে দেশে শিল্প উৎপাদনের হার বৃদ্ধি।
মার্চ মাসের তুলনায় বেশ খানিকটা মুদ্রাস্ফীতির হার কমে আসার পাশাপাশি এই নিয়ে টানা তিন মাস মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসছে। যা নিঃসন্দেহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আর আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কাছে স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতিতে এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে বলে আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত বছরের এপ্রিলে সাম্প্রতিক বেশ কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭.৭৯ শতাংশে। যার থেকে ক্রমশই বোঝা যাচ্ছিল সমস্ত জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।সেই পরিস্থিতি যে এবার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসছে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে নয়া পরিসংখ্যানে।
কোটাক ইক্যুইটিস-এর চিফ ইকনমিস্ট শুভদীপ রক্ষিত জানাচ্ছেন, গত দুই মাসই খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের নীচে থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খুচরো দাম কিছুটা কমতে পারে। এর পর রেপো রেট-এর হার কমানোর ব্যাপারে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক কোনও পদক্ষেপ করে কি না তাও নজরে থাকছে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের, মনে করেন ওই অর্থনীতিবিদ।
অপরদিকে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার খানিকটা কমে গিয়েছে। গত মার্চ মাসে যা ছিল ৪.৭৯ শতাংশ, তা এবার কমে হয়েছে ৩.৮৪ শতাংশ। এই সমস্ত পরিসংখ্যানই পাওয়া যাচ্ছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিস এর সূত্রে। আবার মার্চ মাসে শিল্প উৎপাদনের হারে ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশের শিল্প-বানিজ্য মহলে খানিকটা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।