মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিপ্লোমা’ ডাক্তারের প্রস্তাবে ‘না’ সরকারেরই বিশেষজ্ঞ কমিটির

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিপ্লোমা’ ডাক্তারের প্রস্তাবে ‘না’ সরকারেরই বিশেষজ্ঞ কমিটির

ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : ‘ডিপ্লোমা ডাক্তারে’ সায় নেই রাজ্য় সরকারেরই বিশেষজ্ঞ কমিটির। বৈঠকের পর সব পক্ষের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব নয়, প্রথম বৈঠকে মত বিশেষজ্ঞ কমিটির। তাঁদের মতে, ডিপ্লোমা কোর্সে ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব নয়। ৩ বছরের কোর্সে চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। প্রথম দিনের বৈঠকে মত রাজ্যেরই বিশেষজ্ঞ কমিটির।

‘৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার নয়, চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে, তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন’, প্রথম দিনের বৈঠকে একমত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা, খবর সূত্রের। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের মতামত ৩০ দিনে রিপোর্ট আকারে জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Banerjee)।

কয়েকদিন আগেই ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরি করা যায় কি না, দেখতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। একটি কমিটির গঠনের প্রস্তাবও দেন তিনি। আর যে ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী সামনে রাখার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় চিকিৎসক (Doctors) মহলে। তাঁদের দাবি, চিকিৎসাশাস্ত্রেও ‘সিভিক’ ব্যবহারে কাজ চালানোর চেষ্টা করতে গেলে সমাজে পড়তে পারে প্রবল নেতিবাচক প্রভাব। বিষয়টিতে লাগে রাজনৈতিক রঙও।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসচিবকে বলেছিলেন, ‘ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরি করা যায় কি না বিষয়টা দেখ, তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ে সুযোগ পাবে। যাঁরা অরিজিনাল ডাক্তার তাঁদের অনেক পড়াশোনা করতে হয়, পরীক্ষা দিতে হয়, অনেকটা সময় পড়াশোনা করতে হয়। যার সঙ্গে তারা কাজও করে। কিন্তু দিনে দিনে হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে হাসপাতালে বেড সংখ্যাও, তাই যদি ডিপ্লোমার মাধ্যমে কয়েকজন চিকিৎসক নিয়ে তাঁদের দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার কাজে লাগানো যায়, তাহলেও সবারই অনেকটা সুবিধা হবে বলেই মনে হয়।’ যে প্রস্তাবের পরই বৈঠকে বসেছিল রাজ্য সরকারের কমিটি। যেখানে তাঁরা জানিয়ে দেয়, ‘৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার নয়, চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে, তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন’।

(Feed Source: abplive.com)