ভয়ঙ্কর দৃশ্য ! বাড়ির উঠোনে ১২ ফুটের কুমির, তারপর যা হল, ভয়ে গায়ে কাঁটা দেবে

ভয়ঙ্কর দৃশ্য ! বাড়ির উঠোনে ১২ ফুটের কুমির, তারপর যা হল, ভয়ে গায়ে কাঁটা দেবে

বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়তে দেখা যায় প্রায়ই। এবার তেমনই একটি ভিডিও দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলা থেকে। এক বিশালাকার কুমির উঠে আসে গৃহস্থের উঠোনে। তারপর তাকে তাড়াতে হুলস্থূল পড়ে যায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই ভিডিও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

জানা গিয়েছে, সিদ্ধেশ্বর চিন্তাহরণ মন্দিরের কাছে একটি বসতি এলাকায় মাঝরাতে ওই কুমিরটিকে দেখা যায়। একটি বাড়ির উঠোনে ঢুকে পড়ে বড়সড় কুমিরটি। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম কুমিরটিকে দেখতে পান। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কিছু মানুষের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় গোটা এলাকার মানুষের। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ ফুট লম্বা কুমিরটিকে তাড়াতে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সময় লেগেছে। তবেই স্বস্তির শ্বাস নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ চিন্তাহরণ মন্দিরের পাশে স্থানীয় রাজু কেওয়াতের বাড়ির উঠোনে কী যেন একটা নড়াচড়া করতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। খানিক পরেই বোঝা যায় সেটি একটি কুমির। দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুটের কাছাকাছি।

উঠোনে কুমির ঢুকেছে বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাজু কেওয়াতের পরিবারের সদস্যরা। কুমিরটিকে দেখে রাজু ও তাঁর পরিবার প্রতিবেশীদের সাহায্যের জন্য ডাকেন। প্রাথমিক ভাবে কুমিরটিকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেন সকলে মিলে। স্থানীয় রাকেশ, রাহুল, গোপাল, নীতিন, বিশাল, হেমন্ত, লালা ও অমিত কেওয়াত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুমিরটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার চেষ্টা করে।

কিন্তু বিশালাকার কুমিরটি অদম্য। দড়ি ছিঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে কুমিরটি। রাজুর বাড়ি ছেড়ে সে অন্য বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় যুবকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কুমিরটিকে ধাওয়া করতে শুরু করেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নালার দিকে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কুমির তাড়ানোর এই অভিযান। পরে সেটি নালা দিয়ে চলে যায়। চিন্তাহরণ মন্দিরের সামনের নালা পরিষ্কারের কাজ করছে পুরসভা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বর্ষাকালে শিবপুরীতে কুমির দেখা যায়। তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কেও থাকেন, একই সঙ্গে গোটা বর্ষাকাল তাঁরা সচেতন থাকেন। তবে এবার গ্রীষ্মকালেও লোকালয়ে কুমির ঢুকে আসায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

(Feed Source: news18.com)