১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে তলিয়ে যায় টাইটানিক (Titanic News)। প্রথম যাত্রাপথেই হিমশৈলে ধাক্কা লেগে জলের নীচে চলে যায়। তাতে সওয়ার প্রায় ১৫০০ মানুষের সলিল সমাধি ঘটে। ভাগ্য়জয় করে বেঁচে ফিরে ছিলেন কিছু যাত্রী। মহাসাগরের অতলে, ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে এই মুহূর্তে পড়ে রয়েছে তার অবশিষ্টাংশ। কিন্তু তাকে ঘিরে কৌতূহল রয়ে গিয়েছে আজও।
A new view of the Titanic! New scans reveal the world’s most famous wreck as never seen before. They show the wreck in its entirety – it’s as if the water has been drained away… Check it out here #Titanic
(Footage: @AtlanticProds/ Magellan)pic.twitter.com/1nOdfc7mWb
— Rebecca Morelle (@BBCMorelle) May 17, 2023
জলের নীচে টাইটানিকের স্পষ্ট ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, যে জাহাজ ডুবতে পারে না বলে দাবি করা হয়েছিল, কী করে প্রথম যাত্রাই তার শেষ যাত্রা হয়ে গেল, আাগামী দিনে তার রহস্য় উদঘাটনে এই 3D ভিডিও এবং ছবি কাজে লাগবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
টাইটানিক নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন পার্কস স্টিফেনসন। তাঁর মতে, এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়ে গিয়েছে। জাহাজটি আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। ফলে জাহাজটিকে ঘিরে কল্পকথা এবং শ্রুতিকথার আধিক্যই বেশি। প্রমাণ ভিত্তিক গবেষণা আজও অধরা। এই 3D ভিডিও এবং ছবি সেই রাস্তা উন্মুক্ত করল বলে মত পার্কসের।
আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে, ১৯৮৫ সালে প্রথমন টাইটানিকের অবশিষ্টাংশের হদিশ মেলে। কিন্তু এত গভীরে, অন্ধকারে পড়ে রয়েছে সেটি যে, তার ঝাপসা ছবিই তোলা সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু ডিজিটাল স্ক্যান করে যে ছবি সামনে আনা হয়েছে, তাতে সম্পূর্ণ জাহাজ, তার ভগ্নাংশও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। জাহাজের অগ্র এবং পশ্চাৎ ভাগ আলাদা আলাদা পড়ে রয়েছে। মাঝখানে প্রায় ২ হাজার ৬০০ ফুট দূরত্ব। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভগ্নাংশ।
সমুদ্র, সাগর এবং মহাসাগরের ম্যাপিং করে ম্যাগেলান লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। আর টাইটানিক নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানাচ্ছে আটলান্টিক প্রোডাকশন্স। ২০২২ সালের গ্রীষ্মে তারাই যৌথ ভাবে এই কাজে হাত দেয়। টাইটানিকের আগুপিছু, ধ্বংসাবশেষের চারপাশে প্রায় ২০০ ঘণ্টা আলাদা করে কাটিয়েছে বিশেষজ্ঞদের একটি জাহাজ। সবমিলিয়ে ৭ লক্ষ ছবি তোলা হয়, যাতে প্রত্যেক কোনা থেকে টাইটানিককে দেখানো সম্ভব হয়।
(Feed Source: abplive.com)